যমুনায় পানি কমলেও বাড়ছে ভাঙন, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি
যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় আবারো তীব্র ভাঙন কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘর বাড়ি মসজিদ মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও এখন ভাঙন প্রতিরোধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি ভাঙন কবলিতদের। এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসে আবারো বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
জানা গেছে, ভেঙে যাচ্ছে ঘর বাড়ি, শত বছরের পুরোনো মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির রেস কাটতে না কাটতেই আবারো যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হচ্ছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চর পৌলী, কাকুয়া, বেলটিয়া বাড়িসহ প্রায় ৫টি গ্রাম। গত সাতদিন হলো প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘর বাড়ি মসজিদ মাদরাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত মানুষরা।
ভাঙনের তীব্রতা এতো বেশি যে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার সুযোগও পাচ্ছে না। এসব ভাঙন কবলিত মানুষ ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও ভাঙন রোধে কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলেছেন, সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অনেকেই শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনিও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। এমন সংবাদে অসহায় বোকা মানুষগুলো আবারো তার জন্য সারাদিন রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।
দিন শেষে সন্ধ্যার পর স্পিডবোর্ডে করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এলেও তিনি পাড়ে নামেননি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবারো যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ বছর বন্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রায় ৫টি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো প্রায় শতাধিক ঘর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।