271766

বিচ্ছিন্ন দ্বীপে ‘রহস্যময় বাড়ি’, ৭০ বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছে প্রকৃতি

চারদিকে অথৈ পানি। নীল জলরাশির মাঝে এক টুকরো দ্বীপ। সেখানে রয়েছে ছোট্ট একটি বাড়ি। অনেকেই হয়ত কল্পনার জগতে এমন একটি বাড়িতে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে জানেন কি? কাল্পনিক নয় বাস্তবেই রয়েছে এমন এক বাড়ি।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মাঝে একটি ঘরের ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, পৃথিবীতে আদৌ নাকি এমন কোনো স্থান নেই। ফোটোশপে তৈরি এক ছবি এটি।

দ্বীপটি

দ্বীপটি

আবার কেউ বলছেন, আইসল্যান্ডে এমন জায়গার অস্তিত্ব রয়েছে। ছোট্ট ওই দ্বীপের একমাত্র বাড়িটিকে এখন বিশ্বের নিঃসঙ্গতম তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকরা। তবে সত্যিটা অজানা সবার কাছেই।

এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইল্যান্ডের দক্ষিণে এক বিচ্ছিন্ন এলাকায় এই দ্বীপটি অবস্থিত। দ্বীপটির নাম এলিডে। আইসল্যান্ডের দক্ষিণে ১৫ থেকে ১৮টি এমন ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। এটি তারই একটি। তবে বর্তমানে এই দ্বীপটি জনমানব শূন্য। এক সময় এখানে ৫টি পরিবার বাস করত। শেষ পরিবারটি ১৯৩০ সালে এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যায়।

সেই বাড়িটি

সেই বাড়িটি

বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে অবস্থিত একমাত্র বাড়িটি নিয়ে আরও কিছু গল্পগুজব শোনা যায়। তার মধ্যে একটি হল, কোনো এক কোটিপতি এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বাড়িটি তৈরি করেন।  যদি কোনো দিন জোম্বি আক্রমণ শুরু হয়, তবে তিনি এই দ্বীপটিতে চলে আসবেন বলে ভেবেছিলেন। এই মতবাদটি প্রকাশ পেয়েছে আর এক ব্রিটিশ দৈনিকে।

কারো কারো মতে, আইসল্যান্ডের জনপ্রিয় গায়িকা বিউর্ক এই বাড়িটি তৈরি করেছেন। আবার অনেকেই বলছেন, ধর্মীয় সাধনার জন্য নির্জন এই দ্বীপে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নিঃসঙ্গতম বাড়ি

বিচ্ছিন্ন দ্বীপে নিঃসঙ্গতম বাড়ি

তবে এত মত ভেসে বেড়ালেও সত্যটা হচ্ছে, বাস্তবেই আইসল্যান্ডের এলিডে দ্বীপে এমন একটি বাড়ি রয়েছে। আর তার মালিক হল ‘এলিডে হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন’। বাড়িটি আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে, ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়।

এই অ্যাসোসিয়েশনের সদ্যসরা শিকার করতে গিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। এই শিকারিরা সমুদ্রে দীর্ঘচঞ্চু যুক্ত এক প্রকার পাখি ‘পাফিন’ শিকার করতে যান। ফলে বাস্তবেই এমন একটি দ্বীপ আর তাতে বিশ্বের নিঃসঙ্গতম বাড়ি রয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.