271764

১৪ বছরেই ব্যাংকের মালিক এই কিশোর

মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোর। এই বয়সে ব্যাংকের কাজ কী আর ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে ধারনা হয়ত কোনো শিশুরই থাকে না! অথচ এই বয়সের এক কিশোর ব্যাংকের মালিক বনে গেছেন। পুরো বিশ্বকে সে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার ব্যাংকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনও চলছে।

বিশ্বের সবচেয়ে তরুণ ব্যাংকার জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি। পেরুর বাসিন্দা জোসে। কেন ব্যাংক বানানোর কথা তার মাথায় এলো? কীভাবেই বা সে এই কাজে সফল হলো? এই প্রশ্ন এখন পুরো বিশ্বের মানুষের মনে।

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

মাত্র ৭ বছর বয়সে প্রথম চিলড্রেন’স সেভিংস ব্যাংক গড়ে তোলে জোসে। প্রথমে তার সহপাঠীরাই ছিল গ্রাহক। এখন তার ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা ২০০০। তার ব্যাংক চলে ৮ জন কর্মী নিয়ে। তারা সবাই জোসের থেকে বয়সে অনেক বড়।

জোসের ব্যাংকের নাম বার্টসেলানা স্টুডেন্টস ব্যাংক। জোসে দেখেছিলেন কীভাবে তার সহপাঠীদের একাংশ বাজে খরচ করে পকেটমানি শেষ করে। উল্টো দিকে কোনো সহপাঠী হয়তো টাকার অভাবে বইটাও ঠিক মতো কিনে উঠতে পারে না। তখনই তার মাথায় এই অভিনব ভাবনা আসে।

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

তার ব্যাংকের সবচেয়ে অভিনব বিষয় হলো গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখতে হয় না। বদলে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের জিনিস রাখতে হয়। যে যত প্লাস্টিক জমাতে পারবেন সেই মতো তার অ্যাকাউন্টে টাকাও জমবে। সেই সঞ্চিত টাকা ডেবিট কার্ড দিয়ে লেনদেনও করতে পারবেন গ্রাহক।

এই কিশোরের ব্যাংক শুরু হয়েছিল ক্লাসরুম থেকে। ব্যাংক চালু করে ডেবিট কার্ড ছাপিয়ে প্রথমে সহপাঠীদের দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টিতে এতটাই কৌতূহল জন্মায় যে ক্রমে স্কুলের বাইরেও প্রচুর গ্রাহক তার ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন।

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি

এর ফলে দুটো উদ্দেশ্য পূরণ হয়। এক, ছোটরাও উপার্জন করতে শিখবে এবং দুই, পেরুর রাস্তাঘাট প্লাস্টিকও জঞ্জালমুক্ত হবে। এই কাজের জন্য ২০১৮ সালে জোসে আন্তর্জাতিক জলবায়ু পুরস্কার পায়। এই কম বয়সেই বিশ্বকে সবুজ করার পাশাপাশি সহপাঠীদের পকেটও চিরসবুজ রাখার কঠিন দায়িত্ব নিয়ে ফেলেছে জোসে

পাঠকের মতামত

Comments are closed.