240931

বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র ব্যবহার করে মাকড়সা শতশত মাইল উড়তে পারে, দাবি বিজ্ঞানীদের

রিবাতুল ইসলাম : পৃথিবীতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে শতশত মাইল উড়ে যাওয়ার মাকড়সার কেরামতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। বাতাসের ভেতর দিয়ে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে মাকড়সা উড়ে যাওয়ার সময়। ১৮৩২ সালের অক্টোবরে জাহাকে করে বুয়েনস আয়ার্সে যাওয়ার সময় তরুণ প্রকৃতি প্রেমিক চার্লসডারউইন একটি মাকড়সা দেখে ধারণা করেন আর্জেন্টিার ভূমি থেকে এটি পানিতে ভেসে এসেছে। তখন থেকে অনেকে মাকড়সাকে রোগ জীবানু ছড়িয়ে দেয়ার জন্যে দায়ী করেন। পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়ে কৃষকদের জন্যে মাকড়সা বন্ধু পোকা হয়ে দাঁড়ায় ক্ষতিকর পোকামাকড় ভক্ষণের জন্যে।

তবে অনেকে বিশ্বাস করতেন মাকড়সা জাল বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এই জাল পৃথিবীর বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়ে মাকড়সাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। অন্য বিজ্ঞানীরা বলছেন মাকড়সার জাল বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি আহরণ করে। এর ফলে কোনো উড়োযানের মত জালের ওপর মাকড়সা বসে থাকে এবং তা উড়ে শতশত মাইল পাড়ি দেয়। এক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তার রুট হিসেবে কাজ করে।

ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী এরিকা মোরলে এবং ড্যানিয়েল রবার্ট মাকড়সার এ ধরনের উড়ে যাওয়াকে ‘ব্যালুনিং’ বা বেলুনে উড়ে যাওয়ার মত ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অর্থাৎ মাকড়সা জালের ওপর বসে থেকে পৃথিবীর বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি আহরণ করেই উড়তে থাকে। এভাবেই সে গাছের মাথায়, এক বাড়ি থেকে অন্য স্থানে, প্রয়োজনে জাল বিস্তার করে করে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করে এবং তা অবলম্বন করে উড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে সে কয়েক মিটার পর্যন্ত জাল বিস্তার করতে পারে। তারপর ফের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান তারপর ফের উড়ে যাওয়া। শতশত মাইল।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.