‘সেক্সটয়’ শপে যেয়ে চাকরি খোঁয়ালেন নারী ধর্মযাজক
রিবাতুল ইসলাম : চার্চের প্রথম নারী ধর্মযাজক ছিলেন তিনি। তাকে দেখা গেছে একটি ‘সেক্সটয়’ শপে যেতে। তিনি আদৌ ‘সেক্সটয়’ কিনেছেন কি না, ব্যবহার করেছেন কি না কিংবা কাউকে উপহার দিয়েছেন কিনা তা আর জানার প্রয়োজন মনে করেনি চার্চ কর্তৃপক্ষ। শোনা মাত্রই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বেচারির নাম রেভারেন্ড ড. এ্যামি বাটলার। তার বিরুদ্ধে তার সহকর্মী মন্ত্রী থেকে শুরু করে চার্চে গমনকারী প্রার্থনাকারীরা পর্যন্ত অভিযোগ তুলেছেন মিনাপোলিসে যেয়ে ‘সেক্সটয়’ বা একটি ভাইব্রেটর (কম্পন সৃষ্টিকারী)- কিনেছেন তিনি। ৪৯ বছরের এই ধর্মযাজক নাকি আরেক মন্ত্রীকে একটি সেক্সটয় কিনে দিতে চেয়েছিলেন যিনি নিজেইসমকামী। কিন্তু ওই মন্ত্রী তা নেননি। আর সেক্সটয় শপে যখন তিনি চার্চের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মূল্য পরিশোধকরছিলেন তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় এটা কি চার্চের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হচ্ছে?
নান বাটলার তার সহকর্মীদের নিয়ে মিনাপোলিসে গিয়েছিলেন ২৭তম বার্ষিক হোমিলেটিক্স উৎসবে। সপ্তাহব্যাপী ওই ধর্মীয় সম্মেলনে তার গুরুত্ব ছিল বেশ। কারণ বরখাস্ত হওয়ার আগে তিনিই ছিলেন নিউইয়র্কের রিভারসাইড চার্চের প্রথম নারী ধর্মযাজক। ৫ বছর অসাধারণ নেতৃত্ব দেয়ার পর চার্চের পক্ষ থেকে একবিবৃতিতে জানানো হয় তিনি আর এ দায়িত্ব পালন করছেন না বা তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও থাকছেন না তিনি। তার পরিবর্তে মন্ত্রিসভায় যিনি যোগ দেন সেই সিনিয়র মন্ত্রী মিখায়েললিভিস্টোন বিষয়টি ফাঁস করেন গত ৭ জুলাই। প্রগতিশীল একটি খ্রিস্টীয় বিশ্ব গঠনে ভূমিকা পালনের জন্যে এ্যামিকে ধন্যবাদ জানায় চার্চ কাউন্সিল।