182587

বাড়ি থেকে টয়লেট চুরি!

নূসরাত জাহান: সোনা-দানাসহ দামি জিনিস চুরির কথা শোনা গেছে এখন পর্যন্ত। কিন্তু টয়লেট চুরি! সম্ভবত এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে একটি গ্রামের বাড়ি থেকে একটি নয় দুটি টয়লেট চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর চুরি যাওয়ার টয়লেটটি উদ্ধারের জন্য পুলিশকে তাগাদা দিচ্ছে ওই বাড়ির দুই নারী। স্থানীয় এক অধিকার কর্মী জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে এক নারী বাড়ি থেকে দুটি টয়লেট চুরি গেছে বলে স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা টয়লেট দুটো পুলিশকে খুঁজে দিতে বলেছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অংশ হিসেবেই এই টয়লেট দুটো নির্মাণের ব্যভস্থা করা হয়েছিল।

ছত্তিশগড়ের বিলাসিপুরের অমরপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বেলা বাই প্যাটেল ও তার মেয়ে চন্দ্রা (৪৫) পেন্দ্রা পুলিশ স্টেশনে টয়লেট চুরির অভিযোগ করেছেন। পুলিশ অফিসার ইশহাক খালকো একথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই দুজন তাদের চুরি যাওয়া টয়লেট উদ্ধার করে দিতে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। টয়লেট চুরির বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বেলা ও চন্দ্রা বিধবা মা-মেয়ের বাস দারিদ্র সীমার নিচে। অমরপুরে তারা দুজন দুটি ভিন্ন বাড়ি থাকেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে ওই দুই নারী তাদের বাড়িয়ে টয়লেট করে দেওয়ার আবেদন জানান। তাদের আবেদন পেন্দ্রার জনপদ পঞ্চায়েতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা তাদের আবেদন সাড়া দেয় এবং টয়লেট নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় গ্রাম পঞ্চায়েতকে।

অনমুতি দেওয়ার এক বছর পরও বেলা ও চন্দ্রার বাড়িতে টয়লেট নির্মাণেল কাজ শুরু না হওয়ায় তারা গ্রাম পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানায়। গত মাসে পঞ্চায়েতের সদস্যরা টয়লেট নির্মাণের বর্তমান অবস্থা দেখতে তাদের বাড়ি যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো তারা অবস্থা দেখে এসে গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানায় টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এরপরই মা-মেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।

স্থানীয় অধিকার কর্মী সুরেন্দ্র প্যাটেল বলেন, তথ্য অধিকার আইনের আওতায় বেলা ও চন্দ্রা বাড়ির টয়লেট নির্মাণেল অবস্থা জানার আবেদন করেন তিনি। গত সপ্তাহে তাকে জানানো হয়, টয়লেট দুটো নির্মাণ করা হয়েছে এবং এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘টয়লেট দুটো আসলে কাগজে-কলমে তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে এর কোনো অস্তিস্ত নেই।’

স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অধীনে দুর্নীতির ঘটনার এটাই প্রথম নয়। এর আগেও অনেকে ভুক্তভোগী হয়েছেন। তারা পুলিশের কাছে অভিযোগও করেছে। সূত্র: খালিজ টাইমস।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.