182106

ভারতে নারী পুলিশের আদর্শ পারমিলা!     

মোহতামীম নাঈম :২০১২ সালে দিল্লীতে বাসে করে বাসায় ফিরছিলেন এক নারীবাসের মধ্যেই তাকে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করে টানা দুই দিন হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতরানোর পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই নারী। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশাসনও বেশ নড়েচড়ে বসে। নারীর প্রতি সহিংসতা ঠেকাতে সরকার দেশব্যাপী নারী পুলিশ স্টেশন স্থাপন করে। স্টেশনের দায়িত্ব দেয়া হয় নারী পুলিশকে, যাদের কাজ হচ্ছে নারীদের উপর যৌন হয়রানি ও নির্যাতন হলে তাদেরকে রক্ষা ও আইনি সহায়তা প্রদান করা।

এরকম একজন নারী পুলিশ হলেন ভারতের শনিপাতের নারী পুলিশ স্টেশনের সেকেন্ড ইন কমান্ড পারমিলাইতোমধ্যেই তার গৃহীত পদক্ষেপ এলাকায় ব্যপক সুনাম কুড়িয়েছেপুলিশ অফিসারের নিয়মিত দায়িত্বের বাইরে প্রায়ই পারিবারিক কলহ মেটাতে একজন সমাজকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি ।

ভারতে নারীদের অবস্থা ও পুলিশ স্টেশনের নারী পুলিশদের ভূমিকা নিয়ে ছবি বানাতে চেয়েছিলেন রুহি হামিদ নামের এক নির্মাতা। তাই তিনি এমন একজন নারী পুলিশের সন্ধান করছিলেন, যাকে তিনি তার ছবির প্রধান চরিত্র হিসেবে নিতে পারেন। সঠিক চরিত্রের জন্য রাজস্থান এবং হারিয়ানার নারী পুলিশ স্টেশনের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন তিনিপ্রায় দুই সপ্তাহ তিনি বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন চষে বেড়িয়েছেনঅসংখ্য নারী পুলিশের সাথে সাক্ষাতের পর, অবশেষে দিল্লী থেকে ৫০ মাইল উত্তরে শনিপাত স্টেশনে সাক্ষাৎ পান পারমিলার আলাপ করেই বুঝতে পারেন, নারী পুলিশ চরিত্রের জন্য যে রকম সদালাপী এবং ক্যামেরার সামনে খুব স্বাভাবিক কাউকে খুঁজছিলেন পারমিলা ঠিক তাই। তিনি তাকে নিয়ে বেশ কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে লন্ডনে ফিরে যান কিন্তু ভারতের ভিসা জটিলতা এবং শ্যুটিংয়ের অনুমতি পেতে তার প্রায় দুই বছর লেগে যায়। অবশেষে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি আবার শ্যুটিং শুরু করেন          

কেন তার কাজের জন্য শনিপাতের মতো ছোট টাউন পুলিশ স্টেশন ও পারমিলাকে বেছে নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা রুহি হামিদ জানান, নারীরা নিজ গৃহেই বেশি সমস্যার সম্মুখিন হয়। তাই আমি ছবিতে নারীদের প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে তুলে আনতে চেয়েছি।    

পারমিলার মতো সকল নারী পুলিশ যদি এ রকম সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে একদিন নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল হবে বলে মনে করেন এই নির্মাতা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.