179561

যুদ্ধ করতে চায় পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন!

নূসরাত জাহান: গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে উত্তেজনা চলছে। তবে কোরীয় উপদ্বীপ নিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়তে শুরু করে দিন দশেক আগে। ব্রিটিশ একটি সংবাদপত্র উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাস্যোজ্জ্বল কার্টুন ছাপে। মাথায় টুপি ওয়ালা কিমের কার্টুনের নিচে ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘অনিশ্চিত, অদ্ভুত এই লোকটা টুপির নিচে ব্যাপক বিস্ফোরক নিয়ে বিশ্বকে হুমকি দিচ্ছে।’ আর শার্ট পরা ট্রাম্পকে দেখা গেছে অনেক বোমা নিয়ে উল্লাস করতে। ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘ওখানে থাকতে চাইলে কাজটা করো, তাহলে এই টি-শার্টটি পাবে’। এভাবে আসলে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পশ্চিমাদের উসকানি দিচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দুই পক্ষই যেন যুদ্ধের জন্য মুখিয়ে আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু যুক্তরাষ্ট নয়, দুই দেশের আচরণই উদ্বেগ বাড়চ্ছে। কারণ দুই নেতাই অনিশ্চিত ও অপরিকপক্ক। দুই নেতাই যুদ্ধ বাধানোর পায়তারা করছে। দুই নেতাই একে অপরকে সামরিক সিগন্যালও দিচ্ছে। যুদ্ধ আসলে বাধুক আর নাই বাধুক একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তবে হঠাৎ করেই কেন দুই দেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করছে? আদেও কি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ সম্ভব?
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক কাজগুলো বেশ উসকানিমূলক। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে এবং প্রতিবেশি দেশগুলোতে শেল নিক্ষেপ করেছে। পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল।

তবে বর্তমান পরিস্থিতি পিয়ংইয়ং আসলেই হুমকি বোধ করছে। এমন শক্ত সিগন্যালও ওয়াশিংটনের কাছ থেকে তারা পেয়েছে। তবে শুধু ওয়াশিংটন নয়, পিয়ংইয়ংও একই ধরনের হুমকি দিচ্ছে। দুই দেশের হুমকি-ধামকিতে বিশ্ব আজ হুমকি মুখে দাড়িয়ে আছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি হুমকি অব্যাহত রাখতে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই তারা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। এটা নতুন কোনো কথা নয়। তারা প্রায় এমন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
ওবামা প্রশাসনও উত্তর কোরিয়াকে তাদের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধের বারবার তাগাদা দিয়েছে।দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না চালাতেও বাধা দিয়েছে। তবে উত্তর কোরিয়া থেমে থাকেনি। তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বলে তারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভিন্ন। তারা বিশ্বাস করে, উত্তর কোরিয়া শুধু ভয় দেখাতেই বলছে না যে, তাদের কাছে দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আছে। তাদের কাছে আসলেই অস্ত্রটি আছে। এজন্য পাল্টা হিসেবে তাদেরও চাপে রাখতে হবে।

সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.