178555

এখনও চমক ধরে রেখেছে যে টিভি সিরিজটি

আফরা নাওমি: একটি অ্যাপার্টমেন্ট। একটি আড্ডাখানা, আমেরিকার সেন্ট্রাল পার্ক। ৬ জন বন্ধু- চ্যান্ডলার বিং, মনিকা গেলার, জোই ট্রিব্বিয়ানি, ফিবি বুফে, রস্গেলার এবং রেচেল গ্রিন। ঠাট্টা-মশকরা, আনন্দ-উচ্ছ্বাস, সুখ-দুঃক্ষ ও সার্কাজম এ ভরা ৪৯৫৬ মিনিটের নাম ফ্রেন্ডস!

১৯৯৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রথম শুরু হয় টিভি সিরিজ ফ্রেন্ডস। ৬ বন্ধুর গল্প নিয়ে ১০টি সিজন ও ২৩৬টি এপিসোডের সিরিজটি চলে দীর্ঘ ১০বছর। ২০০৪ সালের ৬ মে সিরিজটির ইতি ঘটে।

শেষ হয়ে যাওয়ার এক দশক পরেও সিরিজটির জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র হ্রাস পায়নি বরং আরও বেড়েছে। এ সময়ের তরুণ সমাজ ইন্টারনেট সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে এপিসোডগুলো দেখছে। সিরিজটির খ্যাতি এখনো শীর্ষে। যারা একবার দেখেছে তারা নতুন করে আবার শুরু করছেন। যারা দেখেনি, বন্ধুদের কাছ থেকে শুনে দেখা শুরু করছে। বর্তমানে আরও অনেক টিভি-শো চলছে, কিন্তু এর মাঝে ‘ফ্রেন্ডস’ এর ভক্ত একটুও কম পড়ছে না।

বিংশ শতাব্দীর এই সিরিজটির আইএমডিবি রেটিং ৯/১০। সিরিজটি ও কলাকুশলীরা বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেছে। টিভি গাইডের শ্রেষ্ঠ ৫০টি টিভি-শো এর মধ্যে ২১ তম ও ৭ম স্থানে এওয়ার্ড অর্জন করে এম্পায়ার ম্যাগ্যাজিনের শ্রেষ্ঠ ৫০ টিভি-শোতে। ২০০২ সালে ৮ম সিজনের জন্য ৬২ প্রাই্ম টাইম এমি এওয়ার্ডস এ মনোনয়ন পেয়ে অর্জন করে কমেডি সিরিজ এওয়ার্ড। ১৯৯৭ সালে টিভি গাইডের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ৫০ টিভি-শো এর ২১ তম স্থান ও সর্বকালের ১০০ শ্রেষ্ঠ এপিসোডের ১০০তম স্থান অর্জন করে ফ্রেন্ডসের একটি এপিসোড। ২০১৩ সালে ‘রাইটারস গিল্ড অফ আমেরিকাস সর্বকালের ১০১ টি শ্রেষ্ঠ রচিত টিভি-শো এর মধ্যে ফ্রেন্ডস ২৪ নম্বর স্থান পায়। আবার সে বছরেই ২৮তম স্থান দখল করে টিভি গাইডের সর্বকালের ৬০টি শ্রেষ্ঠ টিভি-শো এর।
এর প্রভাব এখনো বিস্তর। বিভিন্ন উপহার সামগ্রীতে ফ্রেন্ডস এর আবির্ভাব রয়েছে। কেও চাইলেই তার প্রিয় চরিত্রটির ছবি বসিয়ে মগ কিংবা টি-শার্ট কিংবা কাঠের কাজও করাতে পারে পছন্দ মত। বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট সেজে উঠেছে ফ্রেন্ডস এর ‘সেন্ট্রাল পার্ক’ কে কেন্দ্র করে।

বন্ধু ছাড়া আমাদের যেমন জীবন অসম্পূর্ণ তেমনি ‘ফ্রেন্ডস’ টিভি সিরিজ ছাড়াও যেন দিন কাটে না। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২য় বর্ষের শ্রুতি হক এর ভাষ্যমতে, “ফ্রেন্ডস না দেখলে দিনটি অসম্পূর্ণ লাগে।’’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষে পড়ুয়া অনিমেষ মন্ডল ফ্রেন্ডস সম্পর্কে বলেছে “মোবাইল ফোনে পছন্দের কিছু এপিসোড রেখে দিয়েছি, জ্যামে বসে বসে দেখি আর হাসি।” স্কুল শিক্ষিকা জেনি ইসলাম বলেন “এখনো সময় পেলে কাজের ফাকে ফাকে ফ্রেন্ডস দেখি।”

পাঠকের মতামত

Comments are closed.