178558

‘আমার বয়ফ্রেন্ডকে অ্যারেস্ট করুন’ ১০০ ডায়াল করে বলল তরুণী

নূসরাত জাহান নিশা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কদিন আগে চালু হয়েছে ইমার্জেন্সি প্যানিক নাম্বার। অনেক মোবাইল হ্যান্ডসেটেও আছে এই প্যানিক বাটন। চাপ দিলেই চলে যাবে জরুরি দপ্তরে। সেখানে আছে কাস্টমার কেয়ার। ফোন ধরেই তাদের কাজ হলো আশপাশের পুলিশ বা ফায়ার ব্রিগেডে ঘটনা জানানো। তবে সমস্যা হলো বাগুইয়াটিসহ আশপাশের আরো অনেক এলাকা থেকেই ১০০ তে ফোন করে বিচিত্র সব সমস্যার কথা জানাচ্ছে মানুষজন। কদিন আগেই নিজের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঝগড়া করে এক তরুণী ফোন করে জানালো পুলিশ যেন তার প্রেমিককে ধরে নিয়ে যায়। আবার এমনও হয়েছে যে রাগের চোটে মা ফোন করে জানাল, তার সন্তান মোটেও পড়াশোনা করছে না, তারা যেন বাড়িতে পুলিশ পাঠায়!

যথারীতি এতে ঝামেলায় পড়েছে ১০০ এর অপরপ্রান্তে থাকা অপারেটররা। দিনে গড়পড়তায় নাকি তাদের প্রায় হাজারখানেক এ ধরনের ভুয়া কল রিসিভ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে চাপাও পড়ে যাচ্ছে আসল ভুক্তভোগী। এমনকি মাঝরাতে অনেক মদ্যপও ফোন করে বলছে, তারা যেন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। নাম্বারটা মনে রাখা সহজ বলে বাচ্চারাও এ নিয়ে দুষ্টুমি করতে ছাড়ছে না। বিরক্তির শেষ এখানেই নয়। ১০০ তে ফোন করলে কোনো টাকা কাটা যায় না, এ কারণে অনেকে তাদের নতুন কেনা ফোনটি পরীা করতেও কল দিচ্ছে এ জরুরি বিভাগে। তবে কাজের কাজও যে হচ্ছে না তা নয়। গত মাসেই সল্ট লেক থেকে একজন ফোন দিয়ে জানালেন তার গাড়িটা হাওয়া হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটায় থাকা জিপিএস ট্র্যাক করে দেখলো ওটা আছে বিমানবন্দরে। খানিক পরেই ধরা পড়ে গাড়িচোর।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.