176784

পরমাণু প্রকল্পে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত ও রাশিয়া

নূসরাত জাহান: বিকল্প উপাদান ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উপাদনের দিকে ঝুঁকছে নানান দেশ। বাংলাদেশও বাইরে নয়। তাই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উপাদন করতে চাইছে বাংলাদেশ। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করবে ভারত ও রাশিয়া। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টাইমস।

শিল্পোন্নয়নে দিকে পা বাড়িয়েই সত্যটা উপলব্ধি করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটা সম্ভব বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে এতদিন গ্যাস বেশি ব্যবহার করা হত। তবে গ্যাস দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজের পুরোটা কর যাচ্ছে না। পরিবেশ দূষণের ভয়ও আছে। আর সরবরাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোগান দেওয়ার মতো গ্যাসও তত নেই। বাধ্য হয়ে গ্যাসের জায়গায় কয়লা। তাতে বিতর্ক কম নয়। এখানেও দূষষে বিষয় আছে। তবে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে কয়লায়। পরিবেশ বাঁচিয়েই কাজটা চলছে।

তবে পরিস্থিতি যা দাড়িয়েছে তাতে কয়লাতেও হচ্ছে না। প্রয়োজন আরো কম খরচে শক্তিশালী জ্বালানি। এক্ষেত্রে পরমাণু শক্তির বিকল্প নেই। বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। তাতেও যে বিদ্যুৎ চাহিদা শেষ হবে, তাও নয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্র যত জ্বালানি পাবে, ততই চাইবে। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।
বাংলাদেশ এ কাজে ভারতের সহযোগিতা নিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকার চাইছে, তরুণরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজটা করুক। তামিলনাড়ুর কুড়ামকুলামে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লোক পাঠাতে চাইছে বাংলাদেশ। যাতে তারা হাতে কলমে কাজটা শিখতে পারে।

বেসামরিক খাতে পরমাণু শক্তির ব্যবহারে ভারত-রাশিয়া চুক্তি হয়েছে ২০১৪ সালে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তৃতীয় শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে কাছে টানতে পারে তারা। বাংলাদেশের রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থানে সহযোগিতার নিয়ে মস্কোর সঙ্গে ঢাকার চুক্তি হয়েছে ২০১০ সালে। এ চুক্তির লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণুর ব্যভহার করা যায়। ভারত-রাশিয়া-বাংলাদেশের আর ত্রিপক্ষীয় চুক্তির দরকার নেই।

বাংলাদেশ-ভারতের পরমাণু সহযোগিতা পরিধি বাড়াতে দুদেশ আরও একটি চুক্তিতে সই করবে শিগগিরই। এজন্য অবশ্য রাশিয়ার সম্মতির প্রয়োজন নেই। চলতি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে পরমাণু বিষয়ক চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কাজের রাশিয়াবো পাশে থাকবে বাংলাদেশের।

সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.