বিবারের অশালীন ইঙ্গিত, নেইমারের বান্ধবী ব্রুনাকে
প্রখ্যাত পপ-গায়ক জাস্টিন বিবার এবং ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রের মধ্যে সম্পর্ক কি এবার ছিন্ন হতে চলেছে?
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে সেই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। এবং যাঁকে কেন্দ্র করে দুই জনপ্রিয় তারকার মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়েছে, তাঁর নাম ব্রুনা মাহ্কুইজিনি। যিনি নেইমারের বান্ধবী।
রবিবার ব্রাজিলের একটি পত্রিকা ফাঁস করেছে সেই অজানা কাহিনি। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে গত সপ্তাহে রিওতে গিয়েছিলেন নেইমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী ব্রুনা। ঘটনাচক্রে সেই সময় একটি লাইভ কনসার্ট অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন বিবারও।
ঘনিষ্ঠ বন্ধু নেইমারের জন্যই বিবার সেখানে একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু পার্টিতে ব্রুনাকে নিয়ে নেমার পৌঁছনোর পরেই দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে পরিবেশ। ওই পত্রিকা দাবি করেছে, কার্যত জোর করে নেইমারের কাছ থেকে ব্রুনাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে নাচেন কানাডার ২৩ বছরের জনপ্রিয় পপ-গায়ক।
সেখানেই শেষ নয়। নাচের মধ্যেই ব্রুনাকে তিনি আপত্তিকর ইঙ্গিতও করেন। গোটা ঘটনা চোখ এড়ায়নি নেমারের। মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ ব্রুনা’কে নিয়ে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যান নেইমার। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিবার ক্ষমা চেয়ে নেন নেইমার এবং তাঁর বান্ধবী ব্রুনার কাছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। ওই পত্রিকার বক্তব্য অনুযায়ী, নেইমার নাকি বিবার’কে জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে তাঁর সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখতে চান না। বিবার যেন তাঁকে আর বিরক্ত না করেন।
ঘটনা হল, গত মাসে প্রায় একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল ব্রুনা’র সঙ্গে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে নেইমারের বান্ধবীর একটি ছবিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন প্রখ্যাত মহিলা পপ-তারকা রিয়ানার প্রাক্তন প্রেমিক ক্রিস ব্রাউন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘তোমার রূপ দেখে আমি মোহিত। আলাপ করতে চাই। কোথায় তোমার সঙ্গে দেখা করব’। সেই সময়েও নেইমারের চোখ এড়ায়নি সেই মন্তব্য। তিনিও টুইটারে পাল্টা জবাব দেন, ‘ব্রুনার সঙ্গে দেখা করতে হলে আগে আমার অনুমতি দিতে হবে। এবং ভবিষ্যতে নিজের আচরণ এবং শব্দপ্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন থাকলে খুশি হব’।
ব্রাজিলীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সের পর নেইমারের সঙ্গে ফের সম্পর্ক জোড়া লাগার পর নেইমার আগের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে গিয়েছেন। যে কারণে ব্রাজিল ছেড়ে ব্রুনাও এখন তাঁর সঙ্গে স্পেনেই সময় কাটাচ্ছেন। শুধু তাই নয়। টানা ফুটবলের ফাঁকে সামান্য সময় পেলেই ব্রুনাকে নিয়েই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। বার্সেলোনা তারকার যে আচরণ দেখে অনেকেই মনে করছেন, গোপনে দু’জনের বিয়ে হয়েই গিয়েছে। সেই কারণে ব্রুনা সম্পর্কে
কেউ কোনও বিতর্কিত মন্তব্য অথবা কটাক্ষ করলেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন তিনি।
সুত্র: এবেলা
