সহিংসতায় ভারতীয় মিডিয়ার পক্ষপাত?
সজল সরকার: ভারতে চলমান উন্নয়নের মধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনাও দেশটির মিডিয়া জগতে আলোড়ন তুলেছে। নিম্ন সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আসে নিয়মিত কিন্তু অন্যান্য সহিংসতা সে তুলনায় স্থান পায় না সেভাবে। সম্প্রতি দলিত সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ও গরু খাওয়া নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় কয়েকটি পত্রিকার খবর পর্যালোচনা করে অনলাইন পোর্টাল দ্য হুটে একটি কলাম প্রকাশিত হয় যেখানে সাম্প্রতিক সহিংসতার মাত্রাভেদে উপস্থাপন দেখানো হয়েছে।
এ পর্যালোচনায় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, দ্য হিন্দু, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, জনসত্য ও হিন্দুস্তান- এ ৫টি পত্রিকা রাখা হয়েছে এবং অন্যান্য পত্রিকার খবরের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। খবর পর্যালোচনা দেখা যায় মোদী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু ও নি¤œ সম্প্রদায়ের নির্যাতনের ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে বেশ বড় করে প্রচার পাচ্ছে। উত্তর প্রদেশের দাদ্রিতে আখলাক ও গুজরাটের উনা মারপিটের ঘটনা আলিগড়ের গৌরব হত্যা ও রামপুরের সাঞ্জু রাঠোর হত্যার ঘটনার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। গত বছর উত্তর প্রদেশের দাদ্রি গ্রামে মোহাম্মদ আখলাক নামের এক মুসলমান গরুর মাংশ রাখার খবরে উগ্রবাদীদের কবলে পড়ে মারাত্বকভাবে আহত হয় এবং পরবর্তীতে মারা যায়। গত বছরের শেষের দিকে আলীগড়ে গৌরব নামের এক যুবক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হলে এলাকায় কার্ফ্যু বিরাজ করে এবং ওই বছরেরই মাঝামাঝি সময়ে রামপুর মাঠে গরুর ঘাস কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ঘটার পর সাঞ্জু নামের আরেক নিহত হয়। এ তিনটি হত্যাকান্ডের মধ্যে উত্তর প্রদেশের আখলাক হত্যাকান্ডের ঘটনা সব মিডিয়ায় যেভাবে আলোচিত খবর হিসাবে ছিল তা অন্য দুটি হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রে হয়নি। সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণের জন্য সংবাদ মাধ্যম এরকম কাভারেজ দিলেও তা অন্যরূপ নিয়ে সহিংসতা আরও বাড়াতে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সূত্রঃ দ্য হুট