175066

মোদির ১০ অজানা

নূসরাত জাহান: গুজরাট দাঙ্গা কারণে নরেন্দ্র মোদি ভারতের বিতর্কিত নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনের ‘আচ্ছে দিন’ প্রতিশ্রতি দিয়ে ভারতের ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ১৯৮৪ সালের পর এই প্রথম বিতর্কিত কোনো নেতা ভারতের ক্ষমতায় আসলেন। স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আসুন তার সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নেই।

১. তরুণ বয়স থেকেই মোদি দেশকে ভালোবাসেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের তিনি সেনাবাহিনীর জন্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতেন।  ১৯৬৭ সালের গুটরাজের বন্যার সময় তিনি বন্যার্তদের জন্য কাজ করেছিলেন।
২. মোদি খুবই ফ্যাশন সচেতন। তিনি ফ্যাশন আইনকোন হিসেবেও পরিচিত। তবে তার ব্যান্ডপ্রীতির কথা অনেকেই জানেন না। আহমেদাবাদ ভিত্তিক পোশাকে ব্র্যান্ড ‘যাদে ব্লু’ থেকেই তিনি পোশাক কেনন।
৩. হিন্দুত্ববাদী হিসেবে মোদির পরিচিত রয়েছে। তবে অনেকেই জানেন না বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। মোদির জন্মস্থান ভাদনগরে হিন্দু ও বৌদ্ধরা একত্রে থাকার কারণে তার বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিশেষ প্রীতি রয়েছে।
৪. মোদি সব সময় নিজেকে ‘গরিব’ বলে। আসলেই তিনি হত দরিদ্র পরিবারে থেকে উঠে এসেছেন। তার মা এক সময় মানুষের বাড়িতে বাসন মাজার কাজ করতেন। টাকার অভাবে মোদির পরিবারের কারো বিয়েতে কোনো ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।
৫. ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরই মোদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়। গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ৯ বছর মার্কিন সরকার তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। গুজরাটে ওই দাঙ্গার সময় মোদি ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই দাঙ্গায় এক হাজার ‍মুসলমান প্রাণ হারায়।
৬. কবিতা লেখা ও ছবি তোলার প্রতি মোদির বিশেষ আগ্রহ আছে। তিনি গুজরাটি ভাষায় বেশ কিছু বইও লিখেছেন। তার তোলা ছবির প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।
৭. অনেক সাক্ষাৎকারেই মোদি বলেছেন তিনি খুব কমা ঘুমান। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান। তিনি যখনই ঘুমাতে যান না কেন ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে তিনি ঘুম থেকে ওঠেন।
৮. মোদি খুব ভালোভাবে গুজরাটি ও হিন্দি বলতে পারেন। তার দাবি, ইংরেজিতে তিনি খুব একটা ভালো নয়। তবে তিনি খুব ভোলো বক্তা।
৯. কোনো কিছু করার আগে মোদি তার মায়ের আর্শীবাদ নেন। গুজরাটের মুখমন্ত্রী হিসেবে যখন কাজ শুরু করেছিলেন তখন তার মা বলেছিলেন, ‘বাবা কখনও ঘুষ নিও না।’
১০. প্রথম দিকে মোদির অবশ্য রাজনীতি করার ইচ্ছা ছিল না। তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের সেবা করে জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন। এমনকি তিনি হিয়ালয়ের দুই বছর সাধনা করেছিলেন ইয়োগা সাধুর। সূত্র: ক্রেজি ফ্যাক্ট।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.