175069

ইসরায়েল ‘বর্ণবৈষম্যবাদী’ রাষ্ট্র

নূসরাত জাহান: ইসরাইল ‘বর্ণবৈষম্যবাদী রাষ্ট্র’। তারা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বর্ণবৈষম্যবাদী আচরণ করেন। জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজ পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক কমিশন (ইএসসিডব্লিউএ) ইসলায়েল সম্পর্কে এ মন্তব্য করেছে। জাতিসংঘের কোনো কমিশন এই প্রথম ইসলায়েল সম্পর্কে এমন অভিযোগ করলো। কমিশন তাদের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েল সম্পর্কে এ মন্তব্য করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বর্ণবৈষম্যবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে। যা তারা ফিলিস্তিনকে নিপীড়ন করে যাচ্ছে।
তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। পাশিাপাশি ইসরায়েলের মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিক্কি হালে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ প্রতিবেদন থেকে নিজেকে দূরে রেখে জাতিসংঘ মহাসচিক ঠিক কাজ করেছেন। তবে তাকেই পরবর্তী পদক্ষে নিতে হবে। তাকে এ প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করতে হবে।’
ইসরায়েল এ প্রতিবেদনের জবাবে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তারাই একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের এই অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ প্রতিবেদনকে নাৎসি কায়দায় অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেছে তারা।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার মুখপাত্র ইমানুয়েল নাহশানা টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা অশোভন আচরণ। যা মেনে নেওয়া যায় না।’
এর আগে বিশ্বের অন্যান্য দেশ ইসরাইলের বিরুদ্ধে বণ্যবৈষম্যের অভিযোগ করেছেন। তবে এই জাতিসংঘের কাছে থেকে এমন অভিযোগ আসলো।
ইএসসিডব্লিউএ-এর নির্বাহী সচিব ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি রিমা খালাফ বরেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এক ধরনের বর্ণবৈষম্যমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলাই আছে যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। জাতিসংঘ থেকে এটা প্রথম প্রতিবেদন যেখানে স্পষ্ট বরা আছে ইসরায়েল একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র। তারা এমনভাবে রাষ্ট্র কায়েম করেছে যা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে।
পশ্চিম এশিয়ার ১৮ আরব দেশ নিয়ে ইএসসিডব্লিউএ গঠিত। এ কমিশনেএই ১৮ দেশের অর্থনীতি ও সামজিক উন্নয়নের দেখভাল করে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিত্রে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালাফ।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তার সঙ্গে এ নিয়ে ওই কমিশন কোনো আলোচনা করেনি এবং তার পরামর্শ চাওয়া হয়নি। এটাকে জাতিসংঘের মতের প্রতিফলন ভাবলে ভুল হবে।
তিনি বলেন, ‘এ প্রতিবেদন জাতিসংঘ মহাসচিবের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ নয়। প্রতিবেদনটি যারা প্রস্তুত করেছেন এটা তাদের মনোভাব। এর সঙ্গে জাতিসংঘকে মিলি ফেললে হবে না।’
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.