175072

উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে ইভিএম কারচুপি!

নূসরাত জাহান:উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের আনন্দে ভাসছে দলটি তখন আসলো সেই অভিযোগ। নির্বাচনে নাকি কারচুপি হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমেই কাজটি করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে নির্বাচন বাতিলের দাবিও জানিয়েছে। বহুজন সমাবাদী পার্টির প্রধান মায়বতী নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তার অভিযোহ, বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ইভিএমের কারচুপির কারণেই তার দলসহ অন্যান্য দলের এ ভরাডুবি।
ভারতের নির্বাচনে প্রায় দুই দশক আগে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এরপর এখনও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অভিযোগ রয়েছে ইভিএম দিয়ে ভোট জালিয়াতি করা হচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএমে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মায়াবতী। আমআদমি পার্টির প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনও একই অভিযোগ করেছেন। তাইতো আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দিল্লি পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমের বদলে কাগজের ব্যালট পেপার ব্যবহারের দাবি করেছেন তারা।
ভারতের নির্বাচন কমিশন কারচুপির সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের মতে, ইভিএম দিয়ে কারচুপি সম্ভব নয়।
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে ভোট গণনার সময়ই মায়াবতী ইভিএম মেশিনে বড় ধরনের কারচুপি করা হয়েছে। তাই বিজেপির দিকেই সব ভোট যাচ্ছে। এমনকি অন্য দলের ভোটও বিজেপির দিকেই যাচ্ছে। কিন্তু এ অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।
বিজেপি বলছে, তারা যদি ইভিএমে কারচুপি করতোই তাহলে গত বছর অনুষ্ঠিত দিল্লি আর বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে হারবে কেন? সেগুলোতেও তারা জিততে পারতো।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এর আগে ইভিএমে কারচুপির যেসব মামলা হয়েছিল সেগুলোতে কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি।
ইভিএম বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ যন্ত্রের মাধ্যমে জাল ভোট বা ছাপ্পা ভোট দেওয়া যায় না। অনেকগুলো ব্যালট পেপারে একসঙ্গে ছাপ মেরে বাক্সে ফেলা সম্ভব ছিল। যন্ত্রে সেই সুযোগ নেই। কার প্রত্যেক ভোট দেওয়ার মাঝে আট সেকেন্ডের ব্যবধান থাকতে হবে। যেসব অভিযোগ আসে, সেগুলো নিতান্তই যান্ত্রিক ত্রুটি।
দক্ষিণ ভারতের এক প্রকৌশলী অবশ্য ইভিএম যন্ত্র দিয়ে কারচুপি সম্ভব তা হাতে কলমে প্রমাণকরে দেখিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, একটি যন্ত্র যোগাড় করে তাতে কারচুপি করা সম্ভব হলেও ভোটের ফলাফল বদলে দিতে প্রযোজনীয় অনেকগুলো ইভিএমে কারচুপি করতে হবে। যা সম্ভব নয়। এভাবে কারচুপি করতে হলে যতজন নির্বাচনি কর্মকর্তার অংশ নিতে হবে সেটা গোপনে করা সম্ভব নয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.