174735

কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে হাঁটুন

আজমল হোসেনঃ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যাডভান্স গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে হাঁটা বা জগিং করাটা বেশ উপকারে আসে।

ফ্রাঙ্কফুর্টের জিওথি ইউনিভার্সিটি পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীদের মধ্যে যাদের অ্যাডভান্স গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল টিউমার রয়েছে তারা নানারকম ব্যায়াম থেরাপির মাধ্যমেও উপকৃত হতে পারেন।

আমেরিকান কলেজ অফ স্পোর্টস মেডিসিন এর সুপারিশ অনুযায়ী এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা সামান্য গতিতে ৫০ মিনিট করে সপ্তাহে ৩ দিন অথবা ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম করেন। সেখানে যদি কেউ এগুলো করতে অসুবিধা বোধ করতেন তবে মানসম্মতভাবে তাদের ট্রেনিং এর সময় কমিয়ে দেয়া হতো।

ক্যাটরিন স্টাচার জানান, “কিছু কিছু রোগীদের জন্য সুপারিশ অনুযায়ী হাঁটা বা জগিং করা খুব কষ্টকর হয়ে যেতো।” “আর এর জন্য প্রধান বাঁধা হচ্ছে আবহাওয়া, হয় আবহাওয়া খুব ঠান্ডা বা খুব গরম বা খুব ভেজা। কিন্তু কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন; জ্ঞান হারানো, দুর্বলতা, অবসাদ, ইনফেকশন বা তীব্র ডায়রিয়া তাদের ট্রেনিং এর সময় কমাতে বা বন্ধ করতে বাধ্য করতো” বলে ব্যাখ্যা করেন ক্যাটরিন।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য অনিয়িমিত বিরতির প্রয়োজন সত্ত্বেও পরিপূরক ব্যায়াম থেরাপি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে তাদের হাঁটার গতি, ভারসাম্য, এবং পায়ের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। কেমোথারাপির বিষাক্ততা এই ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে যে কমানো সম্ভব তা এই গবেষণায় প্রথম ধরা পড়ে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা কেমোথেরাপির মারাত্মক বিষাক্ত প্রভাবের শিকার হন তখন প্রায়ই এর ডোজ কমানো এমনকি কেমোথেরাপি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয়।

গবেষক উইনফ্রেড বেঞ্জার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে, ভবিষ্যতে রোগীদের কেমোথেরাপি দেয়ার সাথে সাথে শারীরিক ব্যায়ামও করানো হবে। প্রতিকূল আবহাওয়া এড়াতে হাসপাতালগুলোতে ব্যায়াম করার জন্য আলাদা ঘর বানানো যেতে পারে। সেই সাথে আমরা রোগীদের কেমথেরাপির বিরতির দিন গুলোতে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে ব্যায়াম করার জন্য উৎসাহী করে তুলতে পারি।”

পাঠকের মতামত

Comments are closed.