173980

সীমান্ত পার হলেই  ৮ লাখ ডলার পুরস্কার!

নূসরাত জাহান: দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। যুগের পর যুগ ধরে এ দ্বন্দ্ব আর সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এবার নতুন আবার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর কোরিয়া থেকে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে পালিয়ে আসতে পারলেই পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সে পুরস্কার পরিমাণ নেহাত কমও নয়। যে ব্যক্তি সিউলকে গোয়েন্দা তথ্য দিতে পারকে তাদের ৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন করে দুই দেশের মধ্যে নতুন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার এর আগে যে পুরস্তার ঘোষণা করেছিল একই কাজের জন্য এবার তার পরিমাণ পরিমাণ চার গুণ বাড়িয়ে এ ঘোষণা দিল।  সিউল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে কেউ যদি সীমান্তে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে তবেই তার হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কার পরিমাণ এ পরিমাণ কারণ মানবপাচারকারীদের সাহায্যে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা বেশ ব্যয়বহুল। এছাড়া অস্ত্রসহ কোনো সেনা যদি পালিয়ে আসতে পারে তাহলেও তাদেরও পুরস্কার দেবে দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার একীভূতকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি বিমান, ট্যাংক থেকে শুরু করে ছোট অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে আসতে পারে তাহলে তাদেরও নানা মাত্রায় এই পুরস্কার দেয়া হবে। দেশটির ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, সঙ্গে আনা অস্ত্র বা সরঞ্জামাদির গুরুত্ব বিবেচনা করে পুরস্কারের অর্থ দেয়া হবে। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করলো দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের এমন পদক্ষেপের জবাবে এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ং কোনো বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে চীনের সীমান্ত পার হতে হয়।  ওই সীমান্ত পার হওয়ার সময় চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ার পর ধরা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধরা পড়লে হয় তাদের চীনের কারাগারে জীবন কাটাকে হবে, নয়তো তাদের ধরে উত্তর কোরিয়ার ফেরত পাঠানো হবে। কাজেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানো অনেক বেশি কঠিন বিষয়ি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর জন্য অনেকে মানুষ মানব পাচারকারীদের সাহায্য নিয়ে থাকে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দালালরা প্রচুর পরিমাণে অর্থ দাবি করে।
এর আগে ২০১৬ সালে থায়ে ইয়ং হো নামে উত্তর কোরিয়ার এক কর্মকর্তা পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসতে সক্ষম হয়। লন্ডনের কূটনীতিক হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছিল পিয়ংইয়ং। সে উত্তর কোরিয়া ও দেশটির নেতা কিম জং উন সম্পর্কে নানা গোপনে তথ্য দিয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.