173983

যুক্তরাষ্ট্রের পথেই এগুচ্ছে চীন

নূসরাত জাহান: প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিলো। প্রতিপক্ষের কাছে থেকে এমন ঘোষণা আসার পর কি চীনের বসে থাকার কোনো উপায় আছে বা বসে থাকাটা ঠিক হবে। তাইতো তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিলো। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ান্যান্য দেশের তুলনায় চীন তাদের সামরিকখাতে বেশি ব্যয় করে। যদি চীন বলছে, তারা এ বছর তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় প্রায় সাত শতাংশ বাড়াবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এমন ঘোষণা দিয়েছে তা মানতে নারাজ। অঘোষিতভাবেই দুই দেশের মধ্যে শীতল লড়াই চলছে। এরই ফলশ্রুতিতে চীন সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকীকরণ করতে চীন তাদের এ ঘোষণা দিলেন। এক ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তা বলেছেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বার্থ রক্ষা করার সক্ষমতা চীনের থাকা প্রয়োজন।এজন্যই তারা সামরিক বাজেট বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের সামরিক বাজেট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এরপর চীন এ ঘোষণা দিল। তারপরও তাদের চীনের বাজেট যুক্তরাষ্ট্রের বাজেটের সমান নয়। তবে চীনের অনেক কর্মকর্তাই বেলছেন এ বাচেট যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও অনেক বেশি। কিন্তু তারা বাজেটের আসল অংকটা বলছেন না। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীন তাদের সামরিক ক্রমাগতভাবে কমিয়ে আনছিল। তবে এবার বাড়ানোর ঘোষণা দিল।
কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছন। ট্রাম্পের এ ঘোষণার কয়েকদিন পরই চীন তাদেরসামরিক ব্যয় বাড়ানোর কথা জানালো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সামরিক ব্যয়ের বেশির ভাগই খরচ করা হচ্ছিল বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের মতো প্রযুক্তির পেছনে।
সামরিক এ ব্যয় বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে চীন আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তার শক্তিকে তুলে ধরতে চাইছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। কাজেই তাদের ওপর প্রভাব ফেলতে চাইলে বেইজিংকে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যা দিয়ে তারা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাইতো ২০১৭ সালে চীনের সামরিক ব্যয় অনেকখানি বাড়ানো হলো। তবে এর পরিমাণ আগের বছরগুলোর মতো নয়।
চীনের ন্যাশনাল কংগ্রেসের সম্মেলন শুরু আগে ফু ইং জানান, প্রতিরক্ষা বাজেট ৭ শতাংশের মতো বাড়ানো হবে। অবশ্য গত দুবছর ধরে চীনের সামরিক ব্যয় বাড়ানোএক অংকেসীমিত ছিল। এর প্রায় দুই দশক আগে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১০ শতাংশ বা তার থেকেও বেশি।
তবে চীন যে সামরিক বাজেট বাড়ানোর সরকারি হিসাব দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, চীনের সামরিক ব্যয়ের অনেক কিছুই গোপন রাখা হয়। সব কিছু প্রকাশ করা হয় না। যা মূলত বলা হচ্ছে বাজেট হয়তো তার থেকেও অনেক বেশি।
সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.