173941

চীনের বিআরআই প্রকল্প নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত

নূসরাত জাহান: চীন ও ভারত দুই পক্ষই অনেক দিন ধরেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক ব্যাটে বলে মিলছে না। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দুই পক্ষই।  এর ধারাবাহিকতায় ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ’ (বিআরআই) নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। যদিও চীনের এ ঘোষণায় ভারত কিছুই উদ্বিগ্ন।  কারণ এই করিডোরের একটি রাস্তা পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে যাবে।
চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) মুখপাত্র ফু ইং বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই প্রকল্প থেকে ভারতও লাভবান হবে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ প্রকল্প এ অঞ্চলের আর্থিক উন্নয়েনের জন্য নেওয়া হয়েছে। কাজেই সবার উচিত এ প্রকল্প নিয়ে খোলা মনে ভাবনা চিন্তা করা। কারণ এ থেকেই সব পক্ষই লাভবান হবে।’
এনপিসির ১০ দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের আগেই ফু এ মন্তব্য করলেন। এ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টে জিনপিংয়ের বিআরআই প্রকল্প পাস করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ‘স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ ইন বেইজিং’ এ চীন বিআরআই সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি পাঠানোর ওপর গুরুত্বরোপ করে। আগামী গ্রীষ্মে চীনের রাজধানীতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।     
বিআরআই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক দেশই যুক্ত হবে। একে অনেক দেশই করিডোর হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে। এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ জয়শঙ্কর বলেছিলেন, বিআরআই প্রকল্পের একটি অংশ হচ্ছে চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি)। বিআরআইয়ের এ অংশ নিয়ে ভারতের আপত্তি। যেহেতু এটা পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে যাতে ফলে ভারতের সাবভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হবে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা শুধু যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত নয়, এটি মনে রাখতে হবে সিপিইসিও বিআরআই প্রকল্পের একটি অংশ। আর সিপিইসির জন্য ভারতের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। কারণ পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর থেকেই আমাদের জন্য সার্বভৌমত্ব স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই এমন একটি প্রকল্পে যুক্ত হলে নিজে উদ্যোগে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলা হবে। কাজেই এই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আনার হয় কিনা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।’
এ বিষয়ে এনপিসি মুখপাত্র ফু বলেছেন, ‘মতের ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক। তবে স্পর্শকাতর সব বিষয়ে একে অন্যের উদ্বেগের বিষয়ে মাথায় রেখেই ভারত-চীনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। এতে করে ভালো ফল আসবে। আমাদের এমন কোনো বিষয়কে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না যা একটি বৃহৎ উদ্যোগের পথে বাধা সৃষ্টি করে।’
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.