173943

অস্ট্রেলিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে নারী ফুটবল লীগ

নূসরাত জাহান: অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলে নারীদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এ কারণিই চলতি বছর প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল লীগ আয়োজন করা হয় মেলবোর্নে। নারী ফুটবল লীগের প্রতিটি খেলায় গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এমনকি টিভিতে অনেক মানুষ এ খেলা দেখেছেন। এ খেলা চলাকালীন টেলিভিশনের টিআরপি ছিল অনেক বেশি। যদিও নারী ফুটবল খেলা নিয়ে বেশ সমালোচনাও ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবলারদের নিয়ে গুগলে অনেকে সার্চও করেছেন। এ নিয়ে অন্য দেশর লোকজন কি ভাবছে গুগলে এমন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বেশ কয়েকটি শব্দ আসে। যেমন, ‘ব্লাডি স্পোর্টস’, ‘উন্মাদ’ ও ‘দুর্দান্ত’। মার্কিন এক ধারভাষ্যকার অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় নারী ফুটবল খেলাকে ‘রাগবি ও লুটেরাদের মিশ্রণ’ বলে অভিহিত করেছেন। অনেকের মন্তব্য শুনে মনে হয়েছে ফুটবল শুধু পুরুষেরই খেলার অধিকার রয়েছে। এটা নারীদের জন্য নয়। তারা ফুটবল খেলে বড় ধরনের ভুল করেছেন।
নারীরা ১০২ বছর ধরেই ফুটবল খেলছেন। তবে এ বছরই প্রথম নারীদের জন্য আলাদা করে ফুটবল লীগের আয়োজন করলো অস্ট্রেলিয়অ। আর নারী ফুটবলের ইতিহাস সৃষ্টি করলো ৩ মার্চ রাতে মেলবোর্নের মাঠে।  মাঠেই নারী ফুটবলাররা দেখালেন তারাও খেলার নৈপুণ্যে কম যায় না। তাদের খেলা দেখতে মাঠে জড়ো হয়েছিলেন ২৬ হাজার দর্শক। যদিও টিকিট ছিল ফ্রি। তারপরও এতো দর্শক সমাগম হয়েছিল যে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই মাঠে ঢোকার গেট বন্ধ করে দেয়। তখনও গেটের বাইরে অপেক্ষা করছি প্রায় দুই হাজার দর্শক। এ থেকেই বোঝা যায় নারীদের ফুটবল কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন জানায়, ‘প্রথমবারের মতো আয়োজন করা নারীদের ফুটবল ম্যাচে দর্শকে ঠাসা ছিল। ফুটবলে নারীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা মাত্র।’
অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবলারদের প্রথম সিজনে এক একজন খেলোয়াড় সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ২৭ হাজার ডলার আয় করেছেন। তবে পুরুষ খেলোয়াড়রা তিন লাখ ডলার আয় করেন। এবারের আয়োজনকে অনেকে শুরু বলেই ধরে নিচ্ছেন।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল লীগ নারী ফুটবলারদের খণ্ডকালীন হিসেবে নিয়োগ দেয়। পুরুষ খেলোয়াড়দের তুলনায় তাদের সিজনের সময়ও অল্প। বেশিরভাগ নারী ফুটবলারই অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত। এরই মধ্যে নারী-পুরুষ খেলোয়াড় ভেদে বেতন বৈষম্য নিয়ে কথো ওঠেছে। তবে লীগ প্রধান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
পূর্ণ মেয়াদে নারী খেলোয়াড় দিয়েও খেলানো হবে বলেও আশা করছেন খেলোয়াড়রা। এক নারী ফুটবলার বলেন, ‘এখন আমাদের যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তাতে আমরা খুশি। কারণ এর আগে এমন কখনও হয়নি। ভালোবাসার জায়গা থেকেই আমরা খেলে যাচ্ছি। যেভাবে মানুষের মধ্যে আগ্রহ দেখছি তাতে ভবিষ্যতে আমাদের বেতন আরো বাড়বে বলেই আশা করছি।’
সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.