173936

শান্তির পথে সিরিয়া!

নূসরাত জাহান: আরব বসন্তের ছোঁয়ায় সিরিয়ায় বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই বসেন্তর ছোঁয়া গত ছয় বছরে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।  পরিণত হয়েয়ে গৃহযুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী কোনো পক্ষই তাদের জায়গা থেকে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ। এ গৃহযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের সংযুক্তি এবং আসাদ বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য। যাইহোক দীর্ঘদিন ধরে চলা এ লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি ঘটাতে জাতিসংঘ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ফল আসেসি। কিন্তু হাল ছাড়েনি বিশ্ব সম্প্রদায়। তারা ইতিবাচক ফলাফলের অপেক্ষায়।
সিরিয়া ইস্যুতে গত এক বছর ধরে জাতিসংঘের শান্তি আলোচনা চলছে। প্রথম দফার জেনেভা শান্তি আলোচনা কোনো ফলাফল ছাড়াই সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তবে জাতিসংঘ বলছে, আগের তুলনায় এবারের আলোচনা অনেক ভালো হয়েছে। তারা ইতিবাচক ফল পাওয়ার আশা করছে। তবে আলোচনার এগুচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। গত এক বছর ধরে জেনাভায় এ আলোচনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ফলা পাওয়া যায়নি এ থেকে। কোনো বক্তব্য না দিয়েই সিরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরা বৈঠক থেকে চলে ঘেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে প্রায় প্রতিদিনই বাস্তুচ্যুত হয়েছে অসংখ্য মানুষ
জাতিসংঘ প্রতিনিধি স্টাফান ডি মিসতুরা বলেছেন, ‘ট্রেন পুরোপুরি প্রস্তুত, এটা এখন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ইঞ্জিন গরম করছে। প্রয়োজন একটা একেসেলেটরের।’
শান্তি আলোচনা নিয়ে সিরিয়ার সরকারি পক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিরোধী পক্ষের প্রধান আলোচক নাসর আল হারিরি বলেছেন, ‘আগের তুলনায় এই আলোচনায় অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। ইতিবাচক ফল পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’
জাতিসংঘের আলোচক স্তিফানের মতে, এই শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়া সংকটের রাজনৈতিকভাবে সমাধানের একটি পথ তৈরি হয়েছে। এখন একটা সুযোগের অপেক্ষা মাত্র। তবে খুব শিগগিরউ হয়তো এ সুযোগ পাওয়া যাবে। এই প্রথম  আমার সিরিয়ার এবং তাদের রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এটা একটা ভালো দিক।
সিরিয়ার এই শান্তি আলোচনায় ইসলামিক স্টেট সাবেক নুসরা ফ্রন্ট ছাড়া সিরিয়ার সবগুলো বিরোধী পক্ষ অংশ নিয়েছে। সিরিয়ার সরকার, জাতিসংঘ ছাড়াও আলোচনার টেবিলে রয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক আর ইরান।
চলতি মাসের শেষ দিকে আবার সিরিয়া শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে সব পক্ষই উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে সিরিয়া সরকার, একটি খসড়া সংবিধান, নির্বাচন আর জঙ্গিবাদের মতো বিষয় আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে
সিরিয়ার সামরিক বিষয়ে রাশিয়া, ইরানতুরস্কের মধ্যস্থতায় কাজাকিস্তানে আরেকটি আলোচনা চলছে। সেই আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। তাই তো আশা করা হচ্ছে হয়তো শিগগিরি সিরিয়ায় শান্তি ফিরে আসবে। সূত্র: বিবিসি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.