173917

পিরিয়েডসের সময় স্কিন প্রবলেম? চিকিৎসা করবেন কিভাবে?

মাসের এই একটা সময়ে যন্ত্রণা যেমন আপনাদের সঙ্গী হয়, তেমনি সেই সঙ্গে দেখা দেখা দেয় নানা রকমের ত্বকের অসুবিধা। হাজারও মলম আর ওষুধ লাগিয়েও এই সব স্কিন প্রবলেমের থেকে দূরে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু টিপস আপনাদের দেওয়া হল, যা মেনে চললে এইসব স্কিন প্রবলেমকে একেবারে তুড়ি মেরে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব।
তাই এবার থেকে মাসের এই বিশেষ দিনগুলিতে আর মুখ লুকিয়ে রাখতে হবে না। কথায় আছে না , দের আয়ে দুরুস্ত আয়ে… এবার আপনিও পিরিয়ডের এইসব সমস্যাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আনন্দে জীবন অতিবাহিত করতে পারবেন।

তাহলে অপেক্ষা কিসের, চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সময় কী কী ত্বকের রোগ হয়, আর সেগুলির সঙ্গে লড়ার করার উপায় সম্পর্কে।

১. ব্রণ:
পিরিয়ডের সময় এই একটা ত্বকের রোগ হবেই-হবে। আসলে এই সময় শরীরে হরমোন ক্ষরণে নানা পরিবর্তন আসে। ফলে সিবামের প্রডাকশন বেড়ে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন কী করতে হবে? কোনও চিন্তা নেই! পরিমাণ মতো অ্যালো ভেরা জেল নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। অ্যালো ভেরা ত্বকের প্রদাহ কমায়। ফলে কমতে শুরু করে ব্রণর সমস্যাও।

২. ডালনেস:
পিরিয়ড চলাকালীন ত্বকের সৌন্দর্য কেমন যেন ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। কী তাই তো? এবার থেকে এমনটা হলেই পছন্দসই কোনও স্ক্রাব নিয়ে মুখে ভালো করে মাসাজ করুন। এতে ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষগুলি পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, স্ক্রাব লাগানোর পর মুখে ভাল করে ময়েসচারাইজার লাগাতে ভুলবেন না যেন! এই নিয়মটি মেনে চললেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

৩. ত্বকের ড্রাই হয়ে যাওয়া আটকাতে:
অনেক মহিলার এই সময় এক আজব ধরনের সমস্যা হয়। মুখের কিছু অংশ তৈলাক্ত থাকে, আর কিছুটা কোনও এক আজানা কারণে মারাত্মক ড্রাই হয়ে যায়। এই সময় যদি ড্রাই হয়ে যাওয়া জায়গাগুলির খেয়াল না রাখেন, তাহলে মুখের সৌন্দর্য একেবারে কমে যায়। তাহলে উপায়? লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি শুষ্ক হয়ে যাওয়া জায়গাগুলিতে লাগিয়ে দিন ভাল করে। দেখবেন ফল পাবেন।

৪. সারা মুখ লাল লাল ফুসকুড়িতে ভরে যায়:
এই ধরনের সমস্যা হলেই ময়েসচারাইজার লাগাতে শুরু করবেন। এতে ত্বকের আদ্রতা ফিরে আসবে। প্রসঙ্গত, যে সব ময়েসচারাইজারে হায়ালুরনিক অ্যাসিড রয়েছে সেগুলি মুখে লাগালে এক্ষেত্রে বেশি কাজে দেয়।

৫. ডার্ক সারকেল:
পিরিয়ডের সময় ঘুম কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আর এমনটা হলেই চোখের তলায় কালি পড়তে শুরু করে। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন চোখের তলায় ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ মলম লাগান, দেখবেন ডার্ক সারকেল কমে যাবে।

৬. চোখের ফোলা ভাব কমাতে:
পিরিয়ডের সময় যতই আপনি রেস্ট নিন না কেন চোখের ফোলাভাব যেন কমতেই চায় না। এবার থেকে এমনটা হলেই একটা ঠান্ডা চামচ চোখের উপর রাখুন, দেখবেন ফোলাভাব নিমেষে কমে যাবে। এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি শুনতে যতই আজব লাগুক না কেন বাস্তবে কিন্তু বেশ কার্য়করি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.