173920

এই নিয়ম গুলি মানলে আর কোনো রোগ ছুঁতে পারবে না নারীদের

কিছুদিন পরেই নারী দিবস। সেই নারী দিবসের আগে নারীদের নিয়ে এমন কতগুলি পদ্ধতি থাকল, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে কোনও দিন আপনাদের রোগের জ্বালায় ভুগতে হবে না। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো! কিন্তু বিশ্বাস করুন এই পদ্ধতিগুলি সত্যিই বেশ কার্যকরী।

পুরুষ এবং মহিলাদের শরীরের গঠনে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে সেইসব ফারাকগুলো চোখে না পরলেও বাস্তবে কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শরীর অনেক বেশি জটিল। তাই তো মেয়েদের বেশি করে নিজেদের খেয়াল রাখা উচিত। আর আজকালকার দিনের মেয়েরা তো দশভুজা! একদিকে ঘর সামলাচ্ছেন, অন্য দিকে অফিস। তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ আজীবন সুস্থ থাকতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে চলুন। দেখবেন অনেক আনন্দে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, মেয়েরা আরেকটি ভুল কাজ করে থাকেন, যা একেবারেই করা উচিত নয়। বাড়ি এবং প্রিয়জনেদের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের খেয়াল রাখার সময়ই পান না আপনারা। ফলে নানা রোগ আপনাদের ঘিরে ধরে। এবার থেকে নিজের দিকেও একটু খেয়াল করুন। আপনি যে গ্রিহস্তের স্তম্ভ, আপনি নরে গেলে যে সংসারটাই ভেসে যাবে। ভুলে যাবেন না সেনাপতিই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে সৈন্যরা লড়াই করবেন কীভাবে!

টিপ ১:
প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। প্রসঙ্গত, যাদের বয়স একটু বেশি তারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের পরমর্শ নিন। তাহলে দেখবেন অনেক রোগকেই গোড়াতেই সারিয়ে ফেলতে পারছেন।

টিপ ২:
যেসব রোগ শুধু মাত্র মেয়েদেরই হয়, যেমন- পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের বিষয়ে একটু জেনে নিন। বিশেষত লক্ষণগুলি সম্পর্কে। এমনটা করলে দেখবেন অনেক রোগকেই আপনি প্রথম স্টেজে আটকে দিতে পারবেন। ফলে দীর্ঘ কষ্টের হাত থেকে বাঁচবেন।

টিপ ৩:
যে যে রোগের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া য়ায়, সেগুলি আপনি নিতে পারেন রিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আর একটি বষয় মাথায় রাখবেন। বেশিরভাগ মেয়েরাই ক্যালসিয়াম ডেভিসিয়েন্সি এবং অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। এই দুটি ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া য়ায়, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি।

টিপ ৪:
স্ট্রেস হল এমন একটি বিষ, যা একটু একটু করে শেষ করে দেয় মানব জীবন। বিশেষত মেয়েদের শরীরের উপরে তো স্ট্রেসের খুব বাজে প্রভাব পরে। তাই আজ থেকেই স্ট্রেসকে টাটা-বাই বাই বলুন। প্রয়োজনে নিয়মিত প্রণায়ম করুন। এমনটা করলে দেখবেন অনেক রোগ দূরে থাকবে। প্রসঙ্গত, যারা মা হওয়ার কথা ভাবছেন, তারা স্ট্রেস থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। কারণ মানসিক চাপ শুধু আপনার উপর নয়, আপনার বাচ্চার উপরও কিন্তু কুপ্রবাব ফেলবে। আর এমটা হোক আপনি নিশ্চয় চান না।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.