172207

শীতাকালে এনার্জেটিক থাকতে ঠান্ডা জলে স্নান করুন

শীতে কুঁকড়ে আছেন? ঠান্ডা জলে খুব ভয় করে? রোজ গরম জলে স্নান করেন? কিন্তু সাহস করে ঠান্ডা জলে স্নান করুন। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর এনার্জিও পাবেন অফুরন্ত।

ঠান্ডা ঠান্ডা পানি সে নাহানা চাহিয়ে
একদম ঠিক। ঠান্ডা জলেই সারতে হবে স্নান। যতই ঠান্ডা লাগুক, গরম জল গায়ে ঢালার কথা ভুলতেই হবে। আঁতকে উঠলেন তো? তাহলে একটু ক্যাথরিন হেপবার্নের গল্প শুনুন।
ফিলাডেলফিয়া স্টোরি বা হলিডে বা দ্য গোল্ডেন পন্ডের সেই দৃশ্যগুলো মনে পড়ে? তাক লাগানো অভিনয়ে বারবার দুনিয়াকে মাত করেছেন হলিউডের সর্বকালের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁর ছোটবেলার অভ্যাসের কথা শুনলে তো চমকে উঠবেন। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, ক্যাথরিনের কোল্ড শাওয়ার মাস্ট। সেই অভ্যাসটা বজায় রেখেছিলেন আমৃত্যু। ২০০৩-এ মৃত্যু হয় হেপবার্নের। তখন তাঁর বয়স কত, জানেন? ৯৬। সুস্থ শরীরে এতবছর বাঁচার রহস্য কী?

ঠান্ডা জলেই স্নান
ঠান্ডা জলেই প্রতিরোধ
চিকিত্সকদের পরামর্শ, শীতে ঠান্ডা লাগলেও স্নান করতে হবে ঠান্ডা জলেই। পাল্টাতেই হবে গরম জলে স্নান করার অভ্যাস। শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
সকালে শরীর বেয়ে যখন ঠান্ডা জলের ধারা নেমে আসে, শিউরে ওঠে শরীর। ঠিক তখনই গভীর শ্বাস টেনে নেয় শরীর। শরীরে ঢোকে অনেক বেশি অক্সিজেন। এই অক্সিজেন শরীরকে গরম রাখে। হার্ট রেট বেড়ে যায়। গোটা শরীর দিয়ে রক্ত ছোটাছুটি করে দ্রুত। ফলে সারাদিনের এনার্জি সঞ্চয় করে নেয় শরীর। নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

চিকিত্সকরা বলছেন,শরীর ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে এলে শরীরের সমস্ত অঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফলে, হার্টের স্বাস্থ্য থাকে অটুট। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকায় ব্লাড প্রেশারও স্বাভাবিক থাকে। ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
শুধু হার্টের স্বাস্থ্যই নয়, সকালে নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীর থাকে নিরোগ।

শরীরে দুপ্রকার ফ্যাট রয়েছে। হোয়াইট ফ্যাট ও ব্রাউন ফ্যাট। শরীরে বেশি ক্যালরি ঢুকলে হোয়াইট ফ্যাট বাড়তে থাকে। ক্যালরি না ঝরালে কোমর, পিঠের নিচের দিক, গলা এবং উরুতে ফ্যাট জমতে থাকে। শুরু হয় নানা সমস্যা। ঠান্ডা জল শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বককে রাখে মসৃণ। চুল থাকে সতেজ। পেশির সমস্যা দ্রুত সমাধান করে। স্ট্রেস কমায়। ডিপ্রেশন দূর করে। মন খুশিতে ভরে ওঠে। তাই গরম জলে স্নান করার বদভ্যাস ছাড়ুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.