275025

যেকোনো মুহূর্তে পাঞ্জশিরের অবস্থার অবনতি হতে পারে

পাঞ্জশির প্রদেশ ছিল তালেবানের কাছে বিষফোঁড়ার মতো।  গত ১৫ আগস্ট সমগ্র আফগানিস্তান দখলের পরও এই প্রদেশটি তালেবানের দখলের বাইরে ছিল।

আগস্ট মাসে রাজধানী শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে সাবেক আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী ও পাঞ্জশিরের বিখ্যাত যোদ্ধা শাহ আহমদ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ তালেবানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ঘোষণা করেন। 

 তিন সপ্তাহ যুদ্ধের পর  গত ৬ সেপ্টেম্বর তালেবান বিদ্রোহীদের ঘাঁটি পাঞ্জশির দখলে নেয়।  যদিও বিদ্রোহী মাসুদ অজ্ঞাতস্থল থেকে জানিয়েছেন, তার যোদ্ধারা এখনও তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। 

সম্প্রতি আল জাজিরাকে পাঞ্জশির থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সরকারের একজন চাকরিজীবী বলেন, আমাদের পাশের গ্রামে কি ঘটছে সেটা পর্যন্ত আমরা জানতে পারছি না।  

তিনি বলেন, তালেবান ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে এখনও যুদ্ধ চলছে।  যেকোনো মুহূর্তে পাঞ্জশিরের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

আল জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, পাঞ্জশিরের স্থানীয় বাসিন্দাদের, বিদ্রোহী বাহিনী বিশেষ করে আহমদ মাসুদের ওপর সমর্থন ও ভক্তি রয়েছে।  প্রদেশটি পর্যটক এবং পণ্য পরিবহণের ওপর নির্ভরশীল।  কিন্তু যুদ্ধ চলার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে নেমেছে।  

তালেবান পাঞ্জশির উপত্যকা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ছাড়াও টেলিফোন ও ইন্টারনেট লাইন কেটে দিয়েছে।  পাঞ্জশিরের মানুষ অনুমান করতে পারছে না, কোন পক্ষের শক্তি কেমন। তাছাড়া সেখানে বাস্তাবিক অর্থে কী ঘটছে সেটাও কেউ বলতে পারছে না। তালেবান সারাদেশ থেকে সেখানে যোদ্ধাদের নিয়ে গেছে।  কিন্তু কত সংখ্যক যোদ্ধা নিয়ে গেছে সেই তথ্যও জানা যায়নি। 

তালেবানের বিরুদ্ধে পাঞ্জশিরে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তোলা হচ্ছে।  তবে তালেবানের মিত্র হাক্কানি নেটওয়ার্কের আনাস হাক্কানি বলেন, পাঞ্জশির নিয়ে অনেকে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।  কিন্তু এসব মিথ্যা। তারা যে অভিযোগ তুলছে তার কোনো প্রমাণ নেই।  সেখানে সব কিছু স্বাভাবিক। 

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.