275027

বিদেশি কোম্পানির কাছে ইভ্যালি বিক্রির পরিকল্পনা ছিল: র‌্যাব

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।  এরপর দায়সহ কোনো প্রতিষ্ঠিত বিদেশি কোম্পানির কাছে ইভ্যালি বিক্রি করে লভ্যাংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি।  এ পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন দেশও ভ্রমণ করেন এমডি রাসেল।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, একটি বিদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লোভনীয় অফার (১ঃ২) এর আলোকে ইভ্যালির ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির কাছে কোম্পানি শেয়ারের অফার দিয়ে প্রলুব্ধ করে দায় চাপানোও ছিল পরিকল্পনার অংশ।  এছাড়া তিন বছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোর পরিকল্পনা নেন রাসেল।  দায় মেটাতে বিভিন্ন অজুহাতে সময় বাড়ানোর আবেদনও একটি অপকৌশল মাত্র।  সর্বশেষ তিনি দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা করেছিলেন।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা দাঁড়ায় ৪০৩ কোটি টাকা; তাদের চলতি সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন গ্রাহক ও কোম্পানির কাছে বকেয়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকা।  নানা সংস্থার সূত্রে প্রকাশিত বিপুল পরিমাণ দায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে রাসেল দম্পতি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

প্রতিষ্ঠানটির আরও দায়-দেনা রয়েছে জানিয়ে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, দায়ের সর্বমোট পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকার বেশি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লোকসানি কোম্পানি, কোনো ব্যবসায়িক লাভ করতে পারেনি।  গ্রাহকের অর্থ দিয়েই যাবতীয় ব্যয় ও খরচ নির্বাহ করা হতো। ফলে দেনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রাসেল আরও জানান, ইভ্যালি ছাড়াও তার আরও কয়েকটি ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম রয়েছে।  এর মধ্যে ই-ফুড, ই-খাতা, ই-বাজার ইত্যাদি দিয়েই ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামো শুরু হয়েছিল।  তার ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি ছিল তৈরিকারক ও গ্রাহক চেইন বা নেটওয়ার্ক থেকে বিপুল অর্থ তুলে নেওয়া।  তিনি বিশাল অফার, ছাড়ের ছড়াছড়ি আর ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে সাধারণ জনগণকে প্রলুব্ধ করতেন, যাতে দ্রুততম সময়ে ক্রেতা বৃদ্ধি করা যায়।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.