274878

সেই পাঞ্জশির ঘিরে ফেলেছে তালেবান যোদ্ধারা, বড় ধরণের রক্তপাতের আশঙ্কা

তালেবানরা সোমবার জানিয়েছে, প্রতিরোধ বাহিনীর আশ্রয় নেয়া আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা ঘিরে ফেলেছে।  তবে লড়াই না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাইছে তারা বলে জানিয়েছে তালেবান।  দ্য হিন্দুর।

এমন এক সময় এই ঘোষণা এলো যখন তালেবানপন্থী সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়েছে, রাতভর বিচ্ছিন্ন লড়াই হয়েছে ওই এলাকায়।  আর আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, প্রতিরোধ বাহিনী কড়া জবাব দিচ্ছে তালেবানদের।  তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইট বার্তায় বলেন, তালেবান যোদ্ধারা ‘পাঞ্জশিরের কাছে অবস্থান’ নিয়েছে।  তিনি জানান, তিনদিক থেকে পাঞ্জশিরকে ঘিরে ফেলেছে তাদের যোদ্ধারা।

তালেবানের এই নেতা আরও বলেন, ইসলামিক আমিরাত এই ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছে।  এদিকে প্রতিরোধ বাহিনী সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, চাপের মুখে তারা পিছপা হয়নি।  বরং তাদের প্রতিরোধের মুখে তালেবান যোদ্ধারা পালিয়ে গেছে বলেও দাবি করেছে তারা।

তবে কোনও পক্ষের দাবিই স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।  কারণ পাঞ্জশির প্রত্যন্ত পাহাড়ি একটি এলাকা।  তাই সেখান থেকে তথ্য পাওয়া খুবই কঠিন।  পাঞ্জশির-আগে থেকেই প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত।  এর আগে সোভিয়েত বাহিনী বা তালেবানরা কখনও এই উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারেনি।  তাই তালেবান বিরোধী জোটের নেতা আহমাদ শাহ মাসুদের শক্ত অবস্থান ছিল পাঞ্জশির।  এখন সেই প্রাকৃতিক সুরক্ষার পুরো পুরো ব্যবহার করছেন তার ছেলে আহমাদ মাসুদ।

আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও এখন পাঞ্জশিরে অবস্থান নিয়েছেন।  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, মাসুদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।

মাসুদের তালেবান বিরোধী জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছেন, তারা ‘দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের’ প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  তবে সবার অংশগ্রহণের একটি সরকারের পক্ষে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।

ওই মুখপাত্র আলি মাইসাম নাজারি বলেন, তালেবানের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি বিকেন্দ্রীকৃত।  এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আসলে সামাজিক ন্যায় বিচার, সাম্যতা, অধিকার এবং সবার জন্য স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

অন্যদিকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য যদি আফগানিস্তান ছেড়ে না যায় এবং সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ায় দেশ দুটি তাহলে ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান।  আফগানিস্তানে থাকা সব মার্কিন নাগরিককে চলতি মাসের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে আনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  কিন্তু রোববার রাতে তিনি বলেন, এই সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.