272647

শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বোরখা, বন্ধের মুখে ১ হাজারের বেশি ইসলামিক স্কুলও, ঘোষণা মন্ত্রীর

শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে বোরখা, বন্ধের মুখে হাজারের বেশি ইসলামিক স্কুলও, ঘোষণা মন্ত্রীরএবার বোরখা নিষিদ্ধ হতে চলেছে শ্রীলঙ্কায়।  শুধু তাই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হবে হাজারেরও বেশি ইসলামিক স্কুল।  শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী শরথ বীরাসেকেরা।  ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সইও করে ফেলেছেন তিনি।  এখন কেবল শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষা।  সেই অনুমোদন মিললেই সেদেশে বোরখা পরা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি বন্ধ হবে ইসলামিক স্কুলগুলো।

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? এই প্রসঙ্গে শরথ বীরাসেকেরা জানিয়েছেন, জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেছেন, “অতীতে আমাদের এখানে মুসলিম মহিলারা কখনওই বোরখা পরতেন না।  এটা আসলে ধর্মীয় গোঁড়ামির প্রতীক, যা বর্তমানে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে।  আমরা এটা অবশ্যই নিষিদ্ধ করব।” এদিকে, হাজারেরও বেশি স্কুল বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি জানান, ওই স্কুলগুলি জাতীয় শিক্ষা নীতি লঙ্ঘন করছে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘কেউ হঠাৎ করে নিজে থেকে একটি স্কুল খুলে ফেলল, আর বাচ্চাদের যা ইচ্ছে শেখাতে শুরু করল।  এটা কখনওই হতে পারে না।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইস্টার সানডেতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে সাময়িকভাবে শ্রীলঙ্কায় বোরখা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চার্চ ও হোটেলে ঘটা ওই বিস্ফোরণে আড়াইশোরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।  জখম হয়েছিলেন আরও অন্তত ৫০০ জন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।  এরপর গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে ভাইরাসে মৃত রোগীদের জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে দাহ করে সৎকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার।  সরকারের এই সিদ্ধান্তে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন মুসলিম নাগরিকরা।  এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.