272644

মহাশূন্যে হাঁটাহাঁটি! দুই মহাকাশচারীর স্পেসওয়াকের ভিডিও শেয়ার করল নাসা

মহাশূন্যে হাঁটাহাঁটি করলেন নাসার দুই মহাকাশচারী।  আর সেই স্পেসওয়াকের ভিডিও শেয়ার করল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা।  নাসার টুইট করা ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের তাক লাগানো ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ভিক্টর গ্লোভার ও মাইক হপকিন্স নামের দুই মার্কিন মহাকাশচারীকে।  আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রযুক্তিগত কাজ করতেই স্পেসওয়াক করলেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে ২০২১ সালে এই নিয়ে পঞ্চম স্পেসওয়াক করতে দেখা গেল নভোচারীদের।  নাসা জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় মহাশূন্যে কার্যত ঝুলে ঝুলে নিজেদের কাজটি করে আবারও স্পেসস্টেশনের ভিতরে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা।  সব মিলিয়ে প্রায় ৭ ঘণ্টা স্পেস স্টেশনের বাইরে ছিলেন তাঁরা।  তবে মহাশূন্যে কাজ করতে করতে পৃথিবীর বুকে চলতে থাকা মহামারীর কথা ভোলেননি দু’জন।  বরং মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে তাঁর যে মনে হচ্ছে সকলে একসঙ্গে এই লড়াই লড়ছেন, তা জানিয়েছেন ভিক্টর গ্লোভার।

তাঁর কথায়, “২৫০ মাইল উপর থেকে আমি দেখতে পাচ্ছি আমরা সবাই কেমন একসঙ্গে রয়েছি।  আমরা সকলে টিকাকরণ সুসম্পন্ন হওয়ার অপেক্ষায়। ধৈর্য ধরে যেটা ঠিক সেটাই করতে হবে।”  তাঁর কথায় সায় দিয়ে হপকিন্স বলেন, “হ্যাঁ সত্যিই গত এক বছর একটা কঠিন সময় যাচ্ছে।  কিন্তু আমরা নিশ্চিত, আগামী এক বছর অনেক উজ্জ্বল থাকবে।”

স্পেসওয়াক ব্যাপারটা ঠিক কী? আপাতভাবে মহাকাশে পায়চারি করাটা বেশ রোম্যান্টিক বলে মনে হলেও ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক তা নয়।  সাধারণত কোনও মহাকাশযান বা স্পেস স্টেশনের কোনও ত্রুটি মেরামত করতে কিংবা তার বাইরের অংশে কোনও আপগ্রেড কিংবা ইনস্টলের কাজ করতে হলে মহাশূন্যে বেরিয়ে সেই কাজটি করতে হয়।  তবে দায়িত্বপূর্ণ কাজটির মধ্যে একটা শিরশিরে ঝুঁকিও আছে।  প্রত্যেক মহাকাশচারীর শরীরই কেবল তার দ্বারা আটকানো থাকে স্পেস স্টেশনের সঙ্গে।  কোনও ভাবে সমস্যা তৈরি হয়ে সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে মুহূর্তে মহাকাশের অনন্ত শূন্যে হারিয়ে যেতে পারেন তাঁরা।  তাই ব্যাপারটির মধ্যে বেশ একটা রোমাঞ্চের ছোঁয়া থাকলেও রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েই প্রস্তুত হন মহাকাশচারীরা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.