272619

২ ঘণ্টার অনুশীলন কাজে লাগিয়ে ভালো প্রস্তুতি হচ্ছে বললেন মাহমুদউল্লাহ

নিউ জিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জগুলো ভালো করেই জানে বাংলাদেশ দল। চ্যালেঞ্জ জয়ের পথটাও অজানা নয় কারো কাছে।  তবে সেই পথ ধরে এগোনো যে খুব সহজ নয় জানেনসেটাও।  প্রস্তুতি চলছে এখন কঠিন সেই অভিযানের। কোয়ারেন্টিনের ফাঁকে অনুশীলনের সুযোগটুকু দল পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের মতে, আগ্রাসনের মন্ত্রে সামনে এগোলে ভালো করতে পারে দল।  কিউইদের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডে তিন সংস্করণ মিলিয়ে আগের ২৬ ম্যাচের সবকটি হেরেছে বাংলাদেশ।  এবার মহামারীকালে প্রথম সফরে দলের লক্ষ্য, হারের সেই বৃত্ত ভাঙা।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা অনুশীলন করতে পারছি।  সুযোগ-সুবিধা ভালো। উইকেট গুলো খুব ভালো।  খুব ভালো অনুশীলন হচ্ছে।  যে দুই ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন যথাযথ অনুশীলন করতে পারি। স্কিল অনুশীলন, রানিং বা ফিটনেস, ওই সময়টাতেই করছি। উপভোগ করছি। ঘরবন্দি প্রথম সপ্তাহ শেষে এখন কোয়ারেন্টিনে থেকেই প্রতিদিন গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে পারছেন ক্রিকেটাররা।  প্রতি গ্রুপের জন্য বরাদ্দ ২ ঘণ্টা।  বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় সোমবার মাহমুদউল্লাহ জানালেন, তাদের প্রস্তুতি চলছে দারুণ।

সবাই জানি যে, নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের জন্য কোনোকিছুই সহজ হবে না।  দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে।  ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। ওরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এই কথা মাথায় না রেখে যদি নিজেদের শক্তি আর দুর্বলতার জায়গাগুলোতে মনোযোগ দিতে পারি, তাহলে আমাদের খেলার জন্য ভালো হবে।  আমি মনে করি, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মন-মানসিকতা থাকলে আমরা ভালো করব।

বাংলাদেশের জন্য নিউ জিল্যান্ড তো অজেয় বটেই, দেশের মাটিতে আসলে কিউইরা যে কোনো দলের বিপক্ষেই দুর্দান্ত।  কদিন আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।  চলতি মৌসুমে এর আগে তারা টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।  এই দুই দলের বিপক্ষেই জিতেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।  তবে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার কথা ভেবে কাবু না হয়ে তাই মাহমুদউল্লাহ চাইছেন নিজেদের খেলায় মন দিতে।

দলের রেকর্ড খুব ভালো না হলেও নিউজিল্যান্ডে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এর  সুখস্মৃতি বেশ আছে মাহমুদউল্লাহর।  টেস্টে এখানে দুটি সেঞ্চুরি আছে তার, একটি আছে ওয়ানডেতে। তাসমান সাগরপাড়ের দেশটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তার। এবারও সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই ফিনিশিংয়ের জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকবে দল।  সেই দায়িত্ব তিনি যথেষ্টই অনুভব করতে পারছেন।  নিজের মতো করে আঁকছেন সফল হওয়ার ছবি।

ব্যক্তিগতভাবে আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট বোঝার চেষ্টা করি।  উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি।  কারণ, এসব উইকেটে বরাবরই বাউন্স থাকে।  বাউন্স আর গতি কেমন থাকে, সেটা বুঝে উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।  সবসময় এটাই চেষ্টা করি এবং বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করি।  আমার মনে হয়, বেসিক ক্রিকেট খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।  যদি আমরা মৌলিক কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে আশা করি ফল ভালো হবে।

নিজের পাশাপাশি বোলারদের করণীয় নিয়েও বললেন মাহমুদউল্লাহ।  সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডে বেশির ভাগ সময়ই উইকেট হয় রান প্রসবা।  মাঠের পরিধি থাকে ছোট।  বাগড়া দেওয়ার জন্য প্রচণ্ড বাতাস তো আছেই।  বোলাদের জন্য বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পরামর্শ, লেংথে মনোযোগ দেওয়া।

এখানে লেংথের বিষয়টা খুবই জরুরি।  লেংথে একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারির সুযোগ বেড়ে যায়।  আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন সহজ বাউন্ডারির সুযোগ না দেই এবং সঠিক লাইন-লেংথে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করে যেতে পারি। ওরা যেন ঠিকঠাকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।  মানসিক অবস্থা ঠিক রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এখনকার রুটিনে চলবে আর দিন দুয়েক।  এরপর কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে মুক্তি মিলবে কোয়ারেন্টিন থেকে।  স্বাভাবিক চলাফেরার সুযোগ পাবেন মাহমুদউল্লাহরা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.