271665

অবশেষে ডিভোর্সের পথে তমা মির্জা

২০১০ সালে ‘বলো না তুমি আমার’ ছবিটির মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন ঢাকাই সিনেমার পরিচিত মুখ তমা মির্জা। তারপর বেছে বেছে নিজের পছন্দ মতো বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন তমা। ২০১৫ সালে ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রের অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার জিতেন তিনি।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক হিশাম চিশতীর সঙ্গে ২০১৯ সালের ৭ মে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তমা মির্জা। পারিবারিকভাবে হিশামের সঙ্গে তমার পরিচয়। শুরুতে তমার দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। দুবাইয়ে হানিমুনও করেছিলেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের মনোমালিন্যের খবর পাওয়া গেছে।

এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না তমা ও হিশাম। বিভিন্ন কারণে বাবার বাড়িতেই থাকছেন তমা মির্জা। এরই মধ্যে নায়িকা তমা মির্জা এবং তার স্বামী হিশাম চিশতি পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় ওই ফৌজদারি মামলা করেন হিশাম চিশতি। মামলায় তমা মির্জা ছাড়াও তার পরিবারের কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ধারা নং ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/১০৯। মামলাটিতে তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয় একজনকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে খুব শিগগিরই তিনি স্বামী হিশাম চিশতিকে তালাকের কাগজপত্র পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। তমা মির্জা বলেন, খুব শিগগিরই আমি আমার স্বামী হিশাম চিশতিকে তালাকের কাগজপত্র পাঠাবো। আমার আইনজীবীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। কাগজপত্রও তৈরি হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে তাকে পাঠিয়ে দেব। তার সঙ্গে আমার সংসার করা সম্ভব না।

তিনি আরো বলেন, আমি এর আগেও তাকে একবার তালাক দিতে চেয়েছিলাম। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নেই। সে সময় তার পরিবারের সবার অনুরোধে তালাকের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। কিন্তু এরপরও সে নিজেকে শোধরাতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়েই আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.