269369

৪০০ বছর আগের ছাগল কেমন ছিল? মিলল দেহাবশেষ

বিভিন্ন সময় প্রত্নতাত্ত্বিকরা তাদের গবেষণায় হাজার বছর আগেকার প্রাণীদের কঙ্কাল খুঁজে পেয়েছেন। মিশরে পাওয়া গেছে কুকুর বিড়াল, কাক এবং বিভিন্ন প্রাণীর মমি। তবে এবার পাওয়া গেছে ৪০০ বছর আগেকার এক ছাগলের দেহাবশেষ। ইতালির আল্পস পর্বতের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে বরফের নিচে শত শত বছর ধরে হিমায়িত হয়ে আছে এই ছাগলটি।

এর আগে বরফের তলায় পাওয়া গিয়েছিল ১৪৪০০ বছরেও অক্ষত কুকুর ছানার মৃতদেহ। আর পেটে ছিল গণ্ডারের মাংস। তবে এবারের পাওয়া এই ছাগল আরো বিস্মিত করেছে বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানী হারম্যান এবং ওবারলেচনার জানিয়েছেন, প্রাণীটির দেহের অর্ধেকাংশ বরফের ভেতর ছিল। আর বাকিটা ছিল বরফের উপরে। এর ত্বক,চামড়া সম্পূর্ণ চুলহীন ছিল। এটি সন্ধানের আগে বিজ্ঞানী ওবারলেচনার আল্পস পাহাড়ে প্রায় ছয় ঘন্টা ভ্রমণ করেছিলেন। তখনই তার নজরে আসে শুভ্রসাদা বরফে ভিন্ন রঙের কিছু। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন এটি কিছু একটার কঙ্কাল।

দেখতে অনেকটা এমন ছিল চমোইস

দেখতে অনেকটা এমন ছিল চমোইস

উদ্ধার করার পর তাদের চোখ প্রায় কপালে। এটি একটি ছাগলের কঙ্কাল, তাও এখনকার নয়। ৪০০ বছর আগে এই প্রজাতির ছাগলের অস্তিত্ব ছিল। চ্যাম্পিয়ন স্কাইর ওবারলেচনার ইতালীয়-অস্ট্রিয়ান সীমান্তের নিকটবর্তী দক্ষিণ টাইরোলের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া যায় এই ছাগলের হিমায়িত দেহাবশেষ।  এই অঞ্চলে সেই সময় এই প্রজাতির ছাগলের বাস ছিল। এগুলোর শরীরে এখনকার ছাগলের তুলনায় পশম বেশি ছিল। ফলে বরফের মধ্যে তারা মানিয়ে নিত নিজেদের।এদের নাম ছিল চমোইস।এগুলো আসলে দেখতে এখনকার ছাগলের মতোই ছিল। সে কারণে একে ছাগল বলেই আখ্যায়িত করা হয়েছে।

শরীরে পশম বেশি থাকায় সহজেই বরফের ভেতর নিজেদের মানিয়ে নিতে পারত তারা

শরীরে পশম বেশি থাকায় সহজেই বরফের ভেতর নিজেদের মানিয়ে নিতে পারত তারা

১৯৯১ সালে ইতালীয় আল্পসে হাইকারদের দ্বারা পাওয়া ৫,৩০০ বছর বয়সী আইসম্যান, ওটজিসহ অন্যান্য তথাকথিত আইস মমিগুলোর সংরক্ষণের কৌশলকে আরো উন্নত করার জন্য বিজ্ঞানীরা এখন চমোইস নামে পরিচিত এই প্রাণীটির পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। তবে এটির বিশদ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ছাগলের মতো দেখতে এই চমোইস প্রাণীর উদ্ভাবন করা হয়েছে। যদিও এগুলো ইউরোপ মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এখনও দেখা যায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে তাতে এ জাতীয় প্রাণীর দেহাবশেষ ভবিষ্যতে আরও পাওয়া যাবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.