একসঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দেয়া সেই মা হাসপাতালের মেঝেতে
একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেয়া সেই শারমিন আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিট না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার বিষয়টি জানিয়েছেন তার স্বামী মিজানুর রহমান। তবে এরইমধ্যে তিন নবজাতক মারা গেছে।
এর আগে ১২ আগস্ট কুমিল্লার লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার ছাড়াই পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন শারমিন। এরমধ্যে তিনজন ছেলে ও দুইজন মেয়ে। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হয়। পথে অক্সিজেনের অভাবে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। বাকিদের কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শয্যা না পেয়ে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোববার রাতে মারা যায় এক ছেলে। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। বর্তমানে দুই শিশু ঢামেক হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রয়েছে।
লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ লতিফা আক্তার বলেন, শারমিন আক্তার সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালে আসার পর তার আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এতে তার পেটে চারটি বাচ্চা দেখা গেছে। এরপর তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে একে একে পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করেন। ৭ থেকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বাচ্চাগুলো ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তাদের ওজন কম ছিল। ফলে মা ও সন্তানদের উন্নত পরিবেশে ইনকিউবেটরে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।
লাকসাম উপজেলার পৌলাইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চান্দিশকরা নুরানি মাদরাসার শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তার দুই সন্তানের অবস্থা অপরিবর্তিত। স্ত্রী এখনো অসুস্থ, কিন্তু হাসপাতালে সিট পাননি। মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একটি বেড কিংবা কেবিন পেলে সুবিধা হয়।