268590

শেষ কি হবে তারেক মাসুদের স্বপ্নের প্রজেক্ট

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মাার যান তিনি। ওই সময় মানিকগঞ্জ থেকে ‘কাগজের ফুল’ ছবির লোকেশন দেখে ফিরছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর পর ছবিটির নির্মাণ কাজ থেমে গেছে, গত দশ বছরেও কাজ শুরুর কোনো খবর নেই।
তারেক মাসুদের সহকারী চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান বলেন, তারেক ভাইয়ের স্বপ্নের প্রজেক্ট এটি। ছবিটি হবে। তারেক মাসুদ মারা যাওয়ার পর থেকে ছবিটির যাবতীয় কাজ দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ। তিনি কাজটি এগিয়ে নেবেন। সুবিধাজনক সময়ে ‘কাগজের ফুল’র কাজ ফের শুরু হবে।

তিনি বলেন, ক্যাথরিন মাসুদ বর্তমানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াচ্ছেন। তাকে আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে রেখে দিতে পারলে ভালো হতো। ‘কাগজের ফুল’ অনেক বড় প্রজেক্ট, অনেক বড় প্রস্তুতিরও দরকার আছে। আশা করছি আমরা ছবিটি সামনে আনতে পারবো।

তারেক মাসুদ ১৯৮৫ সালে প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘সোনার বেড়ী’ নির্মাণ করেন। একই বছরের শেষ দিকে নির্মাণ করেন তথ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ ব্যবহার করে দুটি তথ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ‘মুক্তির কথা’ নির্মাণ করেন। ‘নারীর কথা’, ‘ইন দ্য নেইম অব সেফটি’, ‘আ কাইন্ড অব চাইল্ডহুড’, ‘ভয়েসেস অব চিলড্রেনে’র মতো প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি।

তারেক মাসুদ নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিগুলো হলো- সে, নরসুন্দর, শিশু কথা, নিরাপত্তার নামে, বিপন্ন বিস্ময়, নিরাপরাধ ঘুম, সুব্রত সেনগুপ্ত ও সমকালীন বঙ্গসমাজ এবং ইউনিসন (অ্যানিমেশন)। ‘মাটির ময়না’ তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র, যার জন্য ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ডিরেক্টর ফোর্টনাইট’সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

এটি বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য অস্কারে মনোনীত হয়েছিেলা। তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’ মুক্তি পায় ২০১০ সালে। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের স্থান নির্বাচন করে মানিকগঞ্জ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারেক মাসুদ। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করা হয় তাকে

পাঠকের মতামত

Comments are closed.