268259

কোরবানিতে নতুন সংযোজন ডিজিটাল কসাইসেবা

অনলাইনে কোরবানির পশুর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে মাংস কাটা, গরু জবাই ও হোম ডেলিভারি সেবা।

ডিএনসিসি ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত digitalhaat-এ পাওয়া যাচ্ছে এ সেবা। ই-কমার্স উদ্যোক্তা ছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক ও খামারির যত্নে পালিত গরু, ছাগল ও ভেড়া ছাড়াও যুক্ত হয়েছে কসাইসেবা।

এ সেবার মধ্যে রয়েছে- ঈদের তিনদিন আগে থেকে কসাইখানায় গরুর থাকা-খাওয়া, রাখালদের থাকা-খাওয়া, গরুর স্বাস্থ্য ও ওজন পরীক্ষা, ইসলামি বিধান অনুযায়ী গরু জবাই, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাংস কাটা, গরুর ভুঁড়ি পরিষ্কার, মাংস, পায়া, কলিজা ও মগজ ইত্যাদি ৪ কেজির নিরাপদ প্যাকে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে দেয়া। এতে অন্যান্য সহযোগিতায় রয়েছে আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন।

সহযোগিতায় রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ডিজিটাল হাট থেকে সারা দেশের ক্রেতারা গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারলেও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও হোম ডেলিভারি সেবা শুধু ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণবাসীর জন্য প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য, কেউ চাইলে গরু-ছাগল কেনার সময় এ সেবা একসঙ্গে কিনতে পারবেন অথবা অন্য কোনো স্থান বা স্থানীয় হাট থেকে গরু কিনেও ডিজিটাল হাটের কসাই বা স্লটারিং সেবা নিতে পারবেন।

ডিজিটাল হাট ছাড়াও এ সেবা দিচ্ছে আজকের ডিল, দারাজ, দেশিগরুবিডি, গরুহাট ও যাচাই ডটকমসহ বেশকিছু অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। যারা দেশের বাইরে আছেন কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজন দেশে রয়েছেন অথবা দেশে আত্মীয়স্বজন নেই কিন্তু কোরবানি দিতে চান, তাদের জন্য বিদেশ থেকে পেমেন্ট দিলেই দেশে কোরবানির ব্যবস্থা করবে ডিজিটাল হাট। প্রবাসী ক্রেতাদের জন্য আলাদা হেল্পলাইন ০১৮৮৬৮৮৮০০০।

ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ-এর হেড অব ইকুইজিশন সাইমুন সানজিদ চৌধুরী বলেন, ‘এটি নগরবাসীর জন্য একটি অনন্য সুযোগ। যারা এ কোভিড সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে চান বা বাসায় কসাই কিংবা গরুর কোনো ঝামেলা নিতে চান না, তাদের জন্য এক দারুণ সমাধান। কারণ, আপনি দারাজ থেকে গরু ক্রয়ের পর আমরাই আপনার গরু ডিজিটাল হাটের স্লটারিং হাউসে পৌঁছে দেব। পুরো ব্যাপারটিতে গ্রাহকের টেনশন বা হয়রানির কিছু নেই বরং গ্রাহক চাইলে স্লটারিং হাউসে গিয়ে তাদের গরু দেখে আসতে পারবেন।’

এ প্রসঙ্গে দেশিগরুবিডির প্রধান নির্বাহী জনাব টিটু রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত গ্রামীণ কৃষকের গরুগুলো অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়ে এসেছি যাতে নগরের ক্রেতারা সেই গরুগুলো ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে পারে আর কৃষকও যেন উপযুক্ত দাম পায়। পাশাপাশি কোভিড সংক্রমণ রোধ করতে আমরা ডিজিটাল হাটের সঙ্গে মিলে স্লটারিং সেবাটি দিচ্ছি। এটি একটি কমপ্লিট প্যাকেজ। এমনভাবে মাংস প্রসেস করে দেয়া হবে, কোরবানির মাংস বাসায় নিয়ে কোনো কাটাকুটির প্রয়োজন হবে না।’ বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, ‘ঈদের ৩ দিনে আমাদের সর্বোচ্চ ২০০০ গরু স্লটারিং ক্যাপাসিটি রয়েছে। আমাদের ৬০টি দক্ষ কসাই টিম একসঙ্গে কাজ করবে।

ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট থেকে যারা এ সেবা নেবেন তাদের জন্য মূল্য ঠিক করা হয়েছে বুকিং মানি গরু ও মহিষের ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা, ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১০০০ টাকা। যারা শুধু স্লটারিং সেবা নেবেন তাদের সেবার মূল্যের বাকি টাকা পশুর লাইভ ওজনের ওপর নির্ভর করবে। পশুর লাইভ ওজনের প্রতি কেজির জন্য মাংস প্রসেসিং ও অন্যান্য খরচ হিসেবে ৮৬.২৫ পয়সা করে প্রযোজ্য হবে। বুকিংয়ের টাকা মোট প্রদেয় টাকার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ছাগল, খাসি, দুম্বা ও ভেড়ার জন্য কেজিপ্রতি ১২৬.৫০ টাকা। যারা গরু-ছাগল ও কসাইসেবা একসঙ্গে ক্রয় করবেন তাদের পশুমূল্যের সঙ্গে ২৩ শতাংশ চার্জ যুক্ত হবে। এ ক্ষেত্রে ওজন প্রযোজ্য হবে না। এ মূল্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে গরুর থাকা-খাওয়া, জবাই, মাংস কাটা, ভুঁড়ি পরিষ্কার, ৪ কেজি করে প্যাকেজিং ও বাসায় ডেলিভারি পর্যন্ত। ঈদের তিন দিন ধরে চলবে এ কার্যক্রম। আগে এলে, আগে পাবেন ভিত্তিতে বুক করা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের জন্য এ সেবামূল্য কিছুটা কমতে পারে। বিস্তারিত www.digitalhaat.net ভিজিট করুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.