268192

চার লক্ষণেই বুঝবেন আপনার ফুসফুস মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে

মানবদেহে ফুসফুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এর ক্ষতি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সারাবিশ্বেই বহু মানুষ ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছে। সিঁড়িতে ওঠানামার সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া ইত্যাদি ফুসফুসের বড় ও ছোট সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

তবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে আপনার ফুসফুস মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

শ্বাসকষ্ট হয়

যদি আপনার ফুসফুসে সমস্যা থাকে, প্রচুর মানসিক চাপে থাকেন কিংবা আপনি জীবনের জটিল কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। তাহলে ঠাণ্ডা লেগে আপনার ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকবে। ফুসফুসের দুর্বলতার কারণে ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া অথবা ব্রংকাইটিস হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

শ্বাস প্রশ্বাসের সময় বুকে শব্দ হয়

আপনি যদি গভীর শ্বাস নিতে না পারেন, আপনার ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। হতে পারে এটি সিওপিডি বা রক্তস্বল্পতার লক্ষণ। ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি রিভিউর গবেষণা অনুসারে, শ্বাস প্রশ্বাসের সময় সাঁইসাঁই শব্দ হওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে বার্ধক্যজনিত অ্যাজমা, যা শৈশবের অ্যাজমার চেয়ে বেশি তীব্র। ৬৫ উর্ধ্ব ১০ শতাংশ লোকের এটি হয় এবং ক্রনিক সাইনাসাইটিস বা দীর্ঘস্থায়ী সাইনাস প্রদাহের কারণে এর তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।

কাশির সঙ্গে রক্ত আসে

এই ভয়ংকর লক্ষণটি দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কাশির সঙ্গে এই রক্ত উজ্জ্বল লাল বা অধিক বাদামী এবং মিউকাসযুক্ত হতে পারে। এটি ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হলেও এর মানে এই নয় যে আপনার ফুসফুস ক্যান্সার আছে। অন্য অনেক কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত আসতে পারে যেমন- পেটের পেশিতে টান পড়া, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস অথবা এমফিসেমা। যে কারণেই কাশির সঙ্গে রক্ত আসুক না কেন, একে অবহেলা করা উচিত নয়।

কোনো উপসর্গ নেই

ফুসফুস ক্যান্সার হচ্ছে এমন একটি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় যার কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। সাধারণত হঠাৎ করে প্রথম পর্যায়ের ফুসফুসে ক্যান্সার খুঁজে পান ডাক্তাররা। যখন রোগীর অন্য কোনো শারীরিক সমস্যার কারণে বুক বা মেরুদণ্ডের এক্স-রে প্রয়োজন হয়, তখন এ ক্যান্সার ধরা পড়ে। সময় গড়াতে গড়াতে কখনো কখনো হঠাৎ করে অন্যান্য উপসর্গ যেমন- পিঠব্যথা, মাথাব্যথা কিংবা অত্যধিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে- যা শরীরের অন্য স্থানে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ। তার মানে আপনি ফুসফুস ক্যান্সারের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে (আপনার বয়স ৫৫ উর্ধ্ব হলে এবং ধূমপানের ৩০ বছরের ইতিহাস থাকলে), আপনার লো-ডোজ সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করানো প্রয়োজন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.