265445

সৌদি প্রবাসীদের জন্য ‘ইমো’ স্বাস্থ্যসেবা কল সেন্টার চালু

সৌদিতে ইমো ব্যবহারকারী বেশি থাকায় এই প্ল্যাটফর্মে সেবাটি চালু করা হয়েছে। তবে একইসাথে অন্য একটি হটলাইনও চালু করেছে সরকার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সৌদি আরবে বসবাসকারী প্রায় ২২ লাখ বাংলাদেশিরস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম “ইমো”র মাধ্যমে সেবা দিতে “প্রবাস বন্ধু” নামের একটি কল সেন্টার চালু করেছে সরকার।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই টেলিমেডিসিন সেবার উদ্বোধন করা হয়। এখানে কল করে কোনো খরচ ছাড়াই ২২ লাখ প্রবাসী নির্ধারিত সময়ে সেবা নিতে পারবেন।

সৌদিতে “ইমো” ব্যবহারকারী বেশি থাকায় এই প্ল্যাটফর্মে সেবাটি চালু করা হয়েছে। তবে একইসাথে অন্য একটি হটলাইনও চালু করা হয়।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্প থেকে এই কল সেন্টারটি চালু করা হয়। আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে কল সেন্টারটি চালু হলেও এটি মূলত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।

সেবা নেওয়ার জন্যে সৌদি আরব সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সেবা দিতে চালু করা নম্বরগুলো হলো, +৮৮০১৪০০৬১১৯৯৫, +৮৮০১৪০০৬১১৯৯৬, +৮৮০১৪০০৬১১৯৯৭, +৮৮০১৪০০৬১১৯৯৮, +৮৮০১৯৫৮১০৫০২০।

এছাড়া, হটলাইনের নম্বর হলো +৮৮০৯৬১১৯৯৯১১১। স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও অন্য যেকোনো প্রয়োজনে এসব নম্বরে কল করা যাবে।

এই সেবা দিতে সৌদিতে থাকা বাংলাদেশিরা কাজ করবেন। ইতোমধ্যে ৫০জন বাংলাদেশি চিকিৎসক নিবন্ধন করেছেন। আরও ২৫০ জন চিকিৎসক এরসঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।

ঢাকা থেকে পুরো সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি সিনেসিস আইটি। কল সেন্টারটিতে সিনেসিস আইটি’র ১৪জন কল সেন্টার প্রতিনিধি কাজ করবেন।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রবাসকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে অনেক জায়গায় বাংলাদেশিরা কাজ হারাচ্ছেন। অনেকে হয়তো অনেক কঠিন সময় পার করছেন। আমি প্রবাসী ভাই-বোনদের অনুরোধ করবো আপনারা অনেক ধৈর্য ধরছেন আরও একটু ধৈর্য ধরুন। সামনে সবকিছু স্বাভাবিক হলে নিশ্চয়ই কাজ পেয়ে যাবেন। তবে একবার দেশে এসে আবারও ফিরে গিয়ে নতুন করে কাজ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হবে।”

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, “একই ধরণের সেবা যাতে আরও অনেক দেশে চালু করা যায় সেবিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক পুরো অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেটে গেলেও এই সেবাকার্যক্রম সচল রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র: DhakaTribune

পাঠকের মতামত

Comments are closed.