265443

সুন্দরবন অতিক্রম করার পরই কমে যায় আম্ফানের তাণ্ডব

সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী উপকূল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালেই আম্ফানের প্রভাব শেষ হয়ে আসতে দেখা যায়

তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জলোচ্ছ্বাস নিয়ে উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী উপকূল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালেই আম্ফানের প্রভাব শেষ হয়ে আসতে দেখা যায়। কমে আসে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত।

বুধবার রাত নয়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার গতিবেগে সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত করে। এসময় ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ছিল। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাগরদ্বীপে প্রথম আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে এরপর সুন্দরবনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার কারণে আম্ফানের তাণ্ডব কিছুটা কম হয়েছে।

বুধবার রাত পর্যন্ত দেশের পাঁচটি জেলায় গাছচাপায় ও পানিতে ডুবে নারী-শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালানোর সময় ঝোড়ো বাতাসে নৌকা ডুবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপির) টিম লিডার শাহ আলম মারা গেছেন। আর বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বিকেল চারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। সাড়ে চারটার দিকে ঝড়টির অগ্রভাগ সাতক্ষীরা উপকূলে প্রবেশ করে। দক্ষিণাঞ্চল ঝড়ের কবলে বিদ্যুৎ-টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সবচেয়ে বড় প্রভাব রেখে গেছে জলোচ্ছ্বাস দিয়ে।

সূত্র: DhakaTribune

পাঠকের মতামত

Comments are closed.