করোনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ কিন্তু জীবিত হচ্ছে প্রকৃতি
করোনায় পুরো বিশ্বে চলছে লকডাউন। এতে ঘরবন্দী হয়ে আছে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ। এ সুযোগে যেন প্রাণভরে শ্বাস নিচ্ছে প্রকৃতি। অভূতপূর্ব ভাবে কমছে দূষণের মাত্রা। পুরো প্রকৃতি যেন স্বস্থির নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
গবেষণা বলছে, মার্চ মাসে বাতাসে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বস্তুকণার পরিমাণ কমেছে অন্তত ৬০ শতাংশ। বায়ু দূষণের তালিকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে শহরটির বায়ুমানের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।
ভারতের এক গবেষক বলেন, লকডাউনের কারণে গাড়ি চলছে না, সব ধরনের শিল্প কারখানাও বন্ধ। এমনকি মানুষও করোনার ভয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এজন্যই বায়ুমানের নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় একমাসে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, গ্রীসসহ বেশ কয়েকটি দেশের বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে মানুষের আচরণ পাল্টানোর ফলে এ উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবে, করোনা পরবর্তী সময়ে কতোদিন তা স্থায়ী হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের উহানের বায়ুতেও পরিবর্তন দেখা গেছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমে যাওয়ায় বেইজিংয়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে দূষণ। পাশের দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বাতাসেও কমেছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বস্তুকণার পরিমাণ।
চীনের এক আবহাওয়াবিদ বলেন, অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। এখন রাতের বেলাতে আকাশে তারা দেখা যায়। এটা মানুষের মনে এক ধরনের পরিবর্তন এনেছে, যা ভাইরাসটিকে মোকাবিলায় কাজ করবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ