ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন ইরফান
বিশ্বজোড়া খ্যাতি আর শোকেজে সাজানো অসংখ্যা নামী দামি সম্মাননা ফেলে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বলিউডের নামজাদা অভিনেতা ইরফান খান। তার ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’সহ অনেক পুরস্কার।
জীবদ্দশায় ইরফান খান ৫০টিরও বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন হলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতেও। ভারতীয় চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ, সমসাময়িক অভিনয়শিল্পী এবং অন্যান্যরা তাকে হিন্দি সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করেন।
অথচ প্রাথমিক জীবনে অভিনয়ে আসার কোনো ইচ্ছাই ছিল না ইরফান খানের। কপিল দেব ও সুনীল গাভাস্কারদের মতো কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটারদের বর্ণাঢ্যময় জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারও তীব্র ইচ্ছা জেগেছিল, তিনিও একজন নামকরা ক্রিকেটার হবেন।
সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন। ইরফান ও তার শৈশবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সতীশ শর্মা ভালো ক্রিকেট খেলতেন। ইরফান পরবর্তীতে ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ভিত্তি হিসেবে সুপরিচিত সিকে নায়ুডু টুর্নামেন্টে অনুর্ধ্ব ২৩ দলের জন্য নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে তিনি সেই আসরে খেলতে পারেননি।
এর পরই জীবনের ইচ্ছা পাল্টে ফেলেন ইরফান খান। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়াকালীন ১৯৮৪ সালে তিনি নয়া দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে (এনএসডি) পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে এনএসডি থেকে নাট্যতত্ত্বে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। এর পরই হাটতে শুরু করেন অভিনয় জগতের দিকে।
১৯৮৮ সালে মীরা নায়ার পরিচালিত ‘সালাম বম্বে’ ছবির মাধ্যমে ইরফান খানের বলিউড যাত্রা শুরু হয়। ছবিটি সে বছর সেরা বিদেশি ছবি বিভাগে অস্কার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। অভিনয় দিয়ে নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করতে বেশি সময় লাগেনি ইরফানের। স্বীয় প্রতিভাগুণে পরবর্তীতে তিনি যাত্রা করেন হলিউডেও।
কিন্তু ৫৩ বছর বয়সে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর সকল যাসূত্র ঢাকা টাইমস ত্রাই থেমে গেল খ্যাতিমান এই অভিনেতার। যাত্রা শুরু করলেন আরেক দুনিয়ার পথে। বুধবার সকালে মুম্বাইয়ের ধিরুভাই আম্বানি হাসপাতালের আইসিইউতে কোলনে সংক্রমণজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইরফান খান।
সূত্র ঢাকা টাইমস