263754

কার জন্য ভেঙেছিল শাহিদ-কারিনার প্রেম?

তারকা জুটি শাহিদ কাপুর ও কারিনা কাপুরের সম্পর্ক বলিউডের আলোচিত প্রেম কাহিনিগুলোর অন্যতম। একসময় তাদের সম্পর্ক নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছে। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলেও গুঞ্জন ছিল। কিন্তু আরেক অভিনেতার জন্য ভেঙে গিয়েছিল শাহিদ-কারিনার প্রেম। এমন কানাঘুষাই শুরু হয়েছিল বলিউডের অন্দরে।

শাহিদ-কারিনার প্রেমের সূত্রপাত হয়েছিল ২০০৪ সালে ‘ফিদা’ ছবির শুটিং সেট থেকে। টানা তিন বছর তারা জমিয়ে প্রেম করেন। শাহিদের কথাতেই ২০০৭ সালে তার সঙ্গে ‘জব উই মেট’ ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন কারিনা। ওই ছবিতে দুই তারকার রসায়ন এতটাই জমেছিল যে, সুপারডুপার হিট হয়েছিল ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ‘জব উই মেট’।

কিন্তু এর পরের বছর অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে ভাঙন ধরতে শুরু করে শাহিদ-কারিনার সম্পর্কে। কারণ ওই সময় শাহিদের কাছে লুকিয়ে নাকি বর্তমান স্বামী সাইফ আালি খানের সঙ্গে প্রেম সাগরে ভাসছিলেন কারিনা। ২০০৮ সালে সাইফের সঙ্গে ‘তাসান’ ছবির শুটিং করছিলেন নায়িকা। নবাব-পূত্রের প্রতি তার ভালোলাগা তখন থেকেই।

কাজেই সাইফের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি শাহিদ কাপুর। সাইফের সঙ্গে সম্পর্কে আঁচ পেয়ে কারিনার সঙ্গে ব্রেকআপ করেন শাহিদ কাপুর। সে কারণেই প্রচলিত রয়েছে, কারিনার জীবনে সাইফের আগমনেই দূরে সরে গিয়েছিলেন শাহিদ। তবে তাদের সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে দুই তারকা কখনোই পরিষ্কার কিছু বলেননি।

শাহিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর টানা চার বছর প্রেম করে ২০১২ সালে বিবাহিত সাইফকে বিয়ে করে কারিনা। বর্তমানে তাদের এক ছেলে। নাম তৈমুর আলি খান। সাইফের প্রথম স্ত্রী ছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা সিং। ২০০৪ সালে তাদের ডিভোর্স হয়। সাইফ-অমৃতার সংসারে এসেছিল দুই সন্তান। সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান।

অন্যদিকে থেমে থাকেনি শাহিদ কাপুরের জীবনও। ২০১৫ সালে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করে তিনিও সংসারী হন। শাহিদ-মীরার সংসারে দুই সন্তান। একটি ছেলে, একটি মেয়ে। শাহিদের জীবনে কারিনার শূন্যতা যে মীরা রাজপুত ভালো ভাবেই পূরণ করে দিয়েছেন, তা তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিভিন্ন পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়।

প্রসঙ্গত, শাহিদ কাপুর ও সাইফ আলি খানের আগে অর্থাৎ কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে কারিনা কাপুরের প্রেম ছিল বলিউডের ‘গ্রিক গড’ খ্যাত অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে। হৃত্বিক তখন বিবাহিত। সুজান খানের স্বামী। তাই হৃত্বিক-কারিনার সম্পর্কে আপত্তি ছিল দুই পরিবারেরই। কাজেই বেশি দূর আগায়নি সে সম্পর্ক।

সূত্র : ঢাকা টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.