257589

চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি একই গতিপথ দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) দিকেই অগ্রসর হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডাবলিউটিএ চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে চাঁদপুর থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ সকল রুটে নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এ রুটে ফেরি চলাচল আবার শুরু হবে।’
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সরকারি সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং বলগেট, ড্রেজার ইত্যাদি ছোট নৌযানকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে।

দুর্যোগ মোকাবেলায় ১১৭টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, চাঁদপুর জেলার ৩১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ১১৩০জন স্বেচ্ছাসেবক, ৭৫০জন গ্রাম পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.