224561

মেয়েদের গোপনাঙ্গের আকৃতিতে তৈরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে কাতার বিশ্বকাপ!

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০১৩ সালে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্যে এ স্টেডিয়ামটির নকশা যখন চূড়ান্ত হয় তখন ব্রিটিশ-ইরাকি বংশদ্ভুত নারী প্রকৌশলী ড্যামি জাহা হাদিদ এক অদ্ভুত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কাতারের ঐতিহ্যবাহী ‘ডোব’ নৌকার অনুকরণে স্টেডিয়ামটির নকশা করলেও একদল ফুটবল প্রেমী অভিযোগ তোলেন এটি নারীর জননেন্দ্রিয়ের মত দেখা যায়। তখন অনেকে এধরনের নকশা অনুকরণ করে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ বন্ধ রাখারও দাবি তোলেন।

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এ নিয়ে বেশ সরগরম হয়। এতে চটে যান প্রকৌশলী ড্যামি জাহা হাদিদ স্বয়ং। নারীর ব্যক্তিগত অঙ্গের সঙ্গে স্টেডিয়ামটির তুলনা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকৌশল হাদিদ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা খুবই লজ্জাজনক ও বিরক্তিকর যে সমালোচকরা তার নকশাকে নোংরাভাবে সমালোচনা করছে।

তারা কি বলতে চায় এমন প্রশ্ন তুলে হাদিদ বলেন, যে কোনো জিনিসের সঙ্গে গর্ত থাকলেই তাকে যৌনাঙ্গ ভাবতে হবে? এধরনের ভাবনা বাজে জিনিস। আসলে আমি কাতারের ঐতিহ্যবাহী ধোব নৌকার অনুকরণে স্টেডিয়ামটির নকশা তৈরি করেছি। যেটি মাছ ধরার জন্যে ও মুক্তা খোঁজার জন্যে ব্যবহৃত হত। ভাল করে লক্ষ্য করলে পালতোল ধোব নৌকার মতই দেখতে লাগবে স্টেডিয়ামটিকে। কাতারের অতীত ও ভবিষ্যতের এক প্রতিফলন প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এ নকশায় টেনে আনা হয়েছে। দি সান/মিরর

হাদিদ ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ব্যবহৃত এ্যাকুয়াটিকস সেন্টার, ইতালির ম্যাক্সি মিউজিয়াম, চীনের গুয়ানঝো অপেরা হাউসের নকশা তৈরি করেছেন। আক্ষেপ করে হাদিদ বলেন, যদি কোনো পুরুষ প্রকৌশলী আল ওয়াকরাহ স্টেডিয়ামিটির নকশা করতেন তাহলে হয়ত নারীর ব্যক্তিগত অঙ্গের সঙ্গে এটির তুলনা করা হত না। কিন্তু সমালোচকরা নাছোড় বান্দা। তাদের কেউ কেউ বলেন, অহেতুক স্ত্রী অঙ্গের সাদৃশ্য নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এক সমালোচক বলেন, খেলাধূলার জগতে ‘ভ্যাজাইনা’র সাদৃশ্য বেমানান এবং স্টেডিয়ামটির নকশা অন্য কোনো ভাল জিনিসের অনুকরণে হতে পারত। কেন এধরনের একটি স্টেডিয়ামের মধ্যে ৪৫ হাজার দর্শক প্রবেশ করবে? তারা কি এর আগে এমন স্থানে ছিল না?

এধরনের বিতর্কের মাঝে বলতে হয়, আল ওয়াকরাহ স্টেডিয়ামটি অত্যাধুনিক করেই তৈরি করা হয়েছে। দোহা থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে এ স্টেডিয়ামটি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত এবং তাপমাত্রা ৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। ৯২টি বিশেষ ধরনের ছাদ ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এর ছায়া দর্শকদের ওপর এসে পড়ে। রয়েছে ১’শটি ভেন্টিলিশন ইউনিট যা দিয়ে গরম হাওয়া দূর হয়ে যাবে।

এদিকে বাংলাদেশেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির নকশা নিয়ে অনেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। নিপূ নূরুলহূদা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, এই স্টেডিয়ামের খেলা দেখলে কি ঈমান থাকবে? প্রস্তুত কাতারের ‘যোনি স্টেডিয়াম’। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এই যোনি স্টেডিয়ামেই হবে। এই দেশে লালনের ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলে- সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে নারী ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলে…আর একটি খাস ইসলামী দেশে নারীর যৌনাঙ্গের আকৃতির স্টেডিয়াম বানানো হয়। আমরা কি আবালের দেশে বাস করি..

পাঠকের মতামত

Comments are closed.