222516

এক বছরের কম বয়সী শিশুর সামনে ডিজিটাল পর্দা নয়: ডাব্লিউএইচও

অনলাইন সংস্করণঃ- গত বুধবার নতুন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। সেখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের কোনো ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় করা উচিত নয়। আর এক বছরের কম বয়সী শিশুদের সামনে কোনো অবস্থাতেই মোবাইল, ট্যাব বা ল্যাপটপের মতো ডিজিটাল স্ক্রিন দেয়া যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেডরোস অ্যাডানম ঘেব্রেইয়েসাস এক বিবৃতিতে বলেন, জন্মের পর থেকে শৈশবের আগ পর্যন্ত শিশুদের সার্বিক গঠন দ্রুত গতিতে ঘটতে থাকে। এই সময়ের মধ্যেই পারিবারিক পরিবেশ তাদের স্বাস্থ্যগত দিকটিতে প্রভাব ফেলে।

তবে এ প্রতিবেদনে ডিজিটাল পর্দায় কতটুকু সময় দিলে তা ক্ষতিকর হবে তা বলা হয়নি। কিন্তু শিশুদের ভালোর জন্যে ডিজিটাল স্ক্রিন খুবই ক্ষতিকর। তাদের জন্যে দরকার হাঁটাহাঁটি, দৌড়ে বেড়ানো কিংবা খেলাধুলা। এসবই শিশুদের ব্যায়াম।

ডাব্লিউএইচও’র পরামর্শ, এক থেকে চার বছরের মধ্যে শিশুদের দিনে অন্তত ৩ ঘণ্টা নড়াচড়া ও খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকা উচিত। এমনকি এক বছরের কম বয়সীদেরও দিনে কয়েকবার নড়াচড়া ও এদিক-সেদিক করা জরুরি। দৈহিক নড়াচড়ার অভাব শিশুমৃত্যু ও স্থূলতার প্রভাবশালী কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০১২ সাল থেকে পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, কেবল শারীরিক কসরতের অভাব বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৫০ লাখ শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

একইভাবে, আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সের নির্দেশনায় বলাহয়, দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের কোনভাবেই প্রযুক্তি যন্ত্র দেয়া যাবে না।

ডাব্লিউএইচও এর ড. জুয়ানা উইলামসেন বলেন, শিশু স্থূলতা রোধে তাদের শারীরিক ব্যায়ামের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিশুদের ঘুম ঠিক রেখে অন্য সময় পর্যাপ্ত নড়াচড়া, চলাফেরা ও খেলাধুলার সুযোগ রাখতে হবে।

 

সূত্র স্পুটনিকঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.