220222

নুসরাত হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শরীফ গ্রেফতার

অনলাইন সংস্করণঃ- মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ শরীফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার সকালে তাকে সোনাগাজী থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

শরীফ আগুন দেয়ার সময় গেট পাহারায় ছিলেন। পাশাপাশি হত্যা পরিকল্পনায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার রাতে নুসরাতের সহপাঠী বান্ধবী কামরুন্নাহার মনি ও মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে জান্নাতুল আফরোজকে আটক করে পিবিআই।

চাঞ্চল্যকার এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাত্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবসার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ও মো. শামীম।

পিবিআই জানায়, মামলার এজাহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজাহারভুক্ত আরও এক আসামি এখনও পলাতক।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিন তলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।

গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

 

সূত্র যুগান্তরঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.