214535

পাকিস্তানের হাত বেঁধে ভারতকে একা ছাড়া যাবে না, বললেন পাকিস্তানি মেজর

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলো আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং আমরা যে তাদের ধ্বংস করার পুরোপুরি ক্ষমতা আমরা রাখি, এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে। পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পরই বিষয়টি আমরা তাদের বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। রাশিয়ান ওয়েবসাইট স্পুটনিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক-ভারত সম্পর্ক ছাড়াও পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। খবর ডন উর্দুর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃসংযোগ অধিদফতর আইএসপিআরের প্রধান জানান, পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে যদি কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে তা যেন উভয় দেশের জন্য সমানভাবে কার্যকর করা হয়। পাকিস্তানের হাত বেঁধে রেখে ভারতকে একা ছেড়ে দেয়া যাবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান শুধু নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছে। ১৯৯৮ সালে ভারত পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তি অর্জন করেছে। পাকিস্তানের হাতে এ শক্তি থাকায় উভয় দেশের মধ্যে কোনো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা যায়নি। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর এ অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয় জানিয়ে আসিফ গফুর বলেন, আমাদের পারমাণবিক শক্তি ভারতীয় উসকানি দমনের জন্য অন্যতম সহায়ক। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারত আকাশসীমা লংঘন করেছে জানিয়ে পাক বাহিনীর এ মুখপাত্র জানান, আমরা ভারতের মতো মিথ্যা দাবি করি না। আমাদের যুদ্ধ বিমানগুলো আকাশসীমাতেই ছিল। এর সব ভিডিও সংরক্ষিত আছে, কেউ দেখতে চাইলে আমরা তা দেখাতে প্রস্তুত আছি। ভারতের আকাশসীমা লংঘনের তাৎক্ষণিক জবাব দেয়াতেই যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলে দাবি করেন এ সামরিক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পাকিস্তান তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ায় ভারত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতো। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোটে অভিযানের পর ভারতের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে এফ-১৬ নয়, বরং জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছিল।

এমনটাই দাবি করেছে পাকিস্তান। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের দাবি, বালাকোটের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিমানের যে ধ্বংসাবশেষ প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছিল ভারত, তা আদৌ মার্কিন প্রযুক্তিতে তৈরি এফ-১৬ নয়। ওই যুদ্ধবিমান আসলে চীনের সঙ্গে যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার-এর অংশ। ওই অভিযানের ফুটেজও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি মেজর জেনারেল গফুরের। ভারতের দাবি ছিল, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে এআইএম-১২০ এএমআরএএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল) ছুড়েছিল পাকিস্তান। ডন উর্দু, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ইনকিলাব।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.