বিমান ভ্রমনে যাওয়ার আগে জেনে নিন, হাত ব্যাগে কি কি রাখতে পারবেন
কোনো দেশের যোগাযোগব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো বিমানবন্দর। যাত্রী ওঠানামা থেকে শুরু করে আকাশপথে যোগাযোগের পুরো ব্যবস্থাই নিয়ন্ত্রিত হয় বিমানবন্দর থেকে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। আর জঙ্গিবাদের উত্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ ঘটনার পর থেকে বিশ্বের প্রায় সব দেশের বিমানবন্দরেই নিরাপত্তা আরো কঠোর হয়েছে।
ভ্রমণের আগে অবশ্যই আপনাকে কাপড়ের ব্যাগ ও হাতব্যাগ গোছাতে হবে। ভ্রমণ যদি হয় বিমানে তবে সেক্ষেত্রে অনেক জিনিস নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে বোর্ডিং পাশ নেয়ার পর বড় সুটকেসে অনেক জিনিসপত্র আপনি নিতে পারবেন। তা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে বহন করার জন্য দিয়ে দিতে পারবেন।
অনেকে প্রয়োজনে বা শখের বসে বিমানে ভ্রমণ করে থাকেন। অনেকে আছেন যারা প্রথম বিমানে ভ্রমণ করবেন। তাদের জন্য বিমানে ভ্রমণের বিষয়গুলো জানা জরুরি। কারণ বিমানে ভ্রমণের নিয়মগুলো জানা না থাকলে আপনি যাত্রাপথে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই নিয়মকানুন জেনে রাখা ভালো।
বিমানে ভ্রমণের সময় যে বিষয়টি আপনাকে মনে রাখতে হবে তা হলো বিমানের কেবিনে অনুমোদিত বহনযোগ্য হাতব্যাগ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন বিমানে যাত্রার সময় আপনি কোন জিনিসগুলো হাতব্যাগে রাখতে পারবেন না।
বিমানের হাতব্যাগে যেসব জিনিস নেয়া যাবে না- মেশিনগান, পিস্তল, নেইল কাটার, রশি, ব্লেড, মাছ, মাংস, পেন্সিল ব্যাটারি, বাটাল, ম্যাচ বাক্স, প্লাস, লাইটার, কাচি, ছুরি, সুই-সিরিঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, কাঁটা চামচ, মরিচের গুঁড়া, সেভিং ফোম, ক্রিকেট ব্যাট, অ্যারোসল।
হাতব্যাগের যেসব জিনিসপত্রের কথা বলা হয়েছে তা বড় লাগেজে নেয়া যাবে। বড় লাগেজেটি আপনি চেক ইন করার সময় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সে বহন করার জন্য দিয়ে দেবেন। এসব জিনিস চেক ইন লাগেজে আনতে পারলেও হাতব্যাগ আপনি বহন করতে পারেন না।
তবে ডায়াবেটিস রোগীর যে কোনো জরুরি মুহূর্তে ইনসুলিন বহন করতে পারবেন।