207148

পাকিস্তানকে নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় সেই পাইলট

অনলাইন সংস্করণঃ- অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার রাতে নিজ দেশে ফিরেছেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। আর ভারতের মাটিতে পা রেখেই পাকিস্তানকে নিয়ে মুখ খুললেন পাইলট।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করতে গিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন বায়ুসেনার ওই উইং কমান্ডার অভিনন্দন।

পাক-যুদ্ধবিমানকে ভাঙতে গিয়ে নিজেই ভেঙে পড়ে। শেষমুহূর্তে প্যারাশ্যুটে ঝাঁপ দেওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। কিন্তু পাকিস্তানি সেনার হাতে আটকে পড়েন।

এদিকে শুক্রবার (১ মার্চ) পাক সেনার হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার একাধিক ভিডিও সামনে এসেছে। এর মধ্যে ওই রাতে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।

যাদবের বিষয়ে প্রশ্ন ছিল, ইমরান খানের দেশে কেমন ছিলেন এই তিনদিনে? সেটাই জানার অপেক্ষায় রয়েছে আসমুদ্রচলহিমাচল। তিনি এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মাটিতে পা রেখে কথা বলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে।

সেই আধিকারিকদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন ভারতের মাটিতে পা রাখার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে ওই আধিকারিকের দাবি, অভিনন্দন ভারতের মাটিতে পা রেখে বলেন, ‘নিজের দেশে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে।’

ভারতের বায়ুসেনার অত্যন্ত দক্ষ অফিসার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরাতে পেরে খুশি বায়ুসেনার আধিকারিকরা। সেই খুশি তাঁরা ট্যইটারের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতেই এয়ার ভাইস মার্শাল আরজিকে কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনদিন যথেষ্ট চাপের মধ্যে ছিলেন অভিনন্দন। তাই তাঁর সম্পূর্ণ মেডিক্যাল টেস্ট হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গিহামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আহত হন অনেকে। হামলার দায় স্বীকার করে নেয় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ।

তার পাল্টা হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে আরও একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ-ই-মোহাম্মাদের সবচেয়ে বড় জঙ্গিঘাঁটিতে আকাশপথে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা।

সেই হামলার পরদিনই ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে তিনটি এফ-১৬ও ছিল। সেই তিন যুদ্ধবিমানের একটিকে তাড়া করতে গিয়েই পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়েছিলেন অভিনন্দন।

তাকে ছাড়ার ঘোষণা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতি এটা তার শান্তির বার্তা। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শান্তির কথা বললেও পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ক্রমাগত ভারতের উপর হামলা করছে। অভিযোগ ভারত সেনা কর্তৃপক্ষের।

ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তির প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে।

সূত্র বিডিভিউঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.