207069

এক বছরে ধোনির আয় ৫৪৬ কোটি টাকা, কোহলির ৩৮৭ কোটি

অনলাইন সংস্করণঃ- ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বেতন দিতে হয় অট্রেলীয়ার ক্রিকেটারদের। আয়ের উৎসের তুলনা করলে সবচেয়ে বেশি আয় করে ভারতের ক্রিকেটাররা। ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহেন্দ্র সিং ধোনি ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি অট্রেলীয়ান ক্রিকেটারদের তুলনায় প্রায় তিন গুন বেশি আয় করে। ২০০৯ থেকে ধোনি ক্রিকেটারদের মধ্যে একবার ধোনি বলে মনে করা হয়। বিশ্বের দশ ক্রিকেটারের আয় দেখা যাক….

মাহেন্দ্র সিং ধোনি : ভারতীয় দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হিসেবে খ্যাত মাহেন্দ্র সিং ধোনির আয় সবচেয়ে বেশি। ক্রিকেটারদের মধ্যে এক বছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থ ইপার্জন করেন ধোনি। তার মাসিক বেতন সাড়ে তিন মিলয়ন। বাংলাদেশি প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বাৎসরিক হিসেবে এর পরিমাণ ৫৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ‘ক্যাপ্টেন কুলের’ সঙ্গে ফ্যাশন ব্র্যান্ড রিবুক, কোমল পানীয় পেপসিকো এবং ইলেক্ট্রনিক্সের সনির স্পন্সরশিপ চুক্তি আছে।

বিরাট কোহলি : ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলিও কম যান না। মাসিক ৩.১ মিলিয়ন হিসেবে বাংলাদেশি ২৬ কোটি ৮ লাখ টাকা বেতন পান। ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যানের বাৎসরিক আয় ৪৬ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি ৩৮৭ কোটি টাকা। নাইকি, পেপসিকো, টয়োটা এবং হেড অ্যান্ড শোল্ডারের সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি আছে কোহলির।

গৌতম গম্ভীর : ভারতের সাবেক ওপেনার এখনো সেরা বেতনের দৌড়ে উপরের দিকেই আছেন। ৩.৯ মিলিয়ন ডলার হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেতন পান গোতি। এক বছরে তার অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। রিবুক ও রেডবুলের পাশাপাশি হিরো হোন্ডার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন গম্ভীর।

শেন ওয়াটসন : অস্ট্রেলিয়া দলের এক সময়ে ভরসাময় অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। মারমুখী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি গতিময় বোলারও ছিলেন। ৪ মিলিয়ন বেতন পান প্রতি মাসে। বাৎসরিক হিসেবে তার আয়ের পরিমাণ ৪০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি প্রায় ৩৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গুন্ড মোরে, অ্যাসিস ও ট্যাগ হিউয়ার সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি আছে ওয়াটসনের।

শাহিদ আফ্রিদি : বুম বুম খ্যাত পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির বেতন শুনলে তো চমকে উঠবেন। ২.৫ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি ২১ কোটি ২ লাখ টাকা করে পান প্রতি মাসে। যাতে বাৎসরিক আয় দাঁড়ায় ৪৭ মিলিয়ন ডলার (৩৯৫ কোটি ৪১লাখ টাকা)। তার স্পনসর হিসেবে আছে হেড অ্যান্ড শোল্ডার, কিউ-মোবাইল ও পেপসিকো

রোহিত শর্মা : ভারতীয় দলে এ রকম হার্ড হিটার আর কখনো আসেনি। ব্যাটিংয়ে হিটের জন্য তার নাম হয়েছে ‘হিটম্যান’। ২ মিলিয়ন ডলার হিসেবে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা মাসিক বেতন পান। হিটম্যানের বাৎসরিক আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ মিলিয়ন ডলার (৩০২ কোটি ৯১ লাখ টাকা)। স্পনসর হিসেবে আছে এমআরএফ।

ক্রিস গেইল : ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব হিসেবে পরিচিত ক্রিস গেইল। যার নাম শুনলেই আকাশে ভেসে ভেসে বাউন্ডারি ছাড়া হওয়া বল চোখে ভাসে। গেইলের মাসিক আয় ২ মিলিয়ন ডলার (১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা)। এক বছর শেষে তার আয় দাঁড়ায় ৩০ মিলিয়ন ডলার (২৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা)। পেপসিকো ও রয়েল চ্যালেঞ্জের সঙ্গে চক্তিবদ্ধ আছেন তিনি।

সুরেশ রায়না : ভারতের এই অলরাউন্ডার বেতন পান ৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ কোটি টাকা। রায়নার বাৎসরিক আয় ২৫ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২১২ কোটি। রায়না স্পন্সরের আছে টেলি সেবা কোম্পানি এয়ারসেল ও কোমল পানীয় ব্র্যান্ড পেপসিকো।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.